<p><strong>কলকাতা :</strong> "ওঁরা বসে বসে বিরিয়ানি খাবেন, চা-বিস্কুট খাবেন ? আমাদের পেটে খিদে নেই ? আমরা ছেড়ে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। কমিশন, পর্ষদ কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। আগুন জ্বলে যাব।" ঠিক এভাবেই হুঙ্কার ছাড়লেন আন্দোলনরত এক চাকরিহারা। গতকাল রাতটা রাজপথেই খোলা আকাশের নীচে কেটেছে আন্দোলনকারীদের। আজও সেই আন্দোলন জারি আছে। সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বেলা যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। রাতভর দফতরেই আটকে SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ আধিকারিকরা। অন্যদিকে, করুণাময়ীতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে চলছে চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভ। চাকরি ফেরতের দাবিতে গতকাল সন্ধে ৭টা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ জন অশিক্ষক কর্মী। বাইরে অবস্থান করছেন চাকরিহারা গ্রুপ C, গ্রুপ D কর্মীরা। চাকরিহারাদের অভিযোগ, অযোগ্যদের বাঁচানোর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। যোগ্যদের বেতন দেওয়ার কথা বললে কেন তালিকা প্রকাশ নয় ? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। </p>
<p>এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী এক চাকরিহারা সুর চড়ালেন। তিনি বলেন, "উনি প্রতারণা করলেন কেন ? উনি তো বলেছিলেন, যোগ্য-অযোগ্য তালিকা দেবেন। কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে তিনি কেন এই বিভাজনটা করতে চাইলেন ? ১২১২ আর ৪০৯১… ইললিগ্যাল…তাঁদের সংখ্যাটা প্রকাশ না করে কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে তিনি কেন যোগ্য-অযোগ্য বিভাজনটা করতে চাইলেন ? আমাদের সন্তানরা কী খাবে ? কোনও ঠিক নেই। আমাদের পরিবারের মুখে কীভাবে অন্ন তুলে দেব ? আমাদের EMI, মাইনে হবে কি না নিশ্চয়তা নেই। ওঁরা বসে বসে বিরিয়ানি খাবেন, চা-বিস্কুট খাবেন ? আমাদের পেটে খিদে নেই ? আমরা ছেড়ে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। কমিশন, পর্ষদ কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। আগুন জ্বলে যাব।" </p>
<p> </p>
Source link
‘পর্ষদ, কমিশন কাউকে ছাড়ব না, আগুন জ্বলবে; আমাদের পেটে খিদে নেই ?’ হুঙ্কার চাকরিহারার
