কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পুরো প্য়ানেল বাতিল হওয়ায়, অযোগ্যদের সঙ্গে চাকরি গেছে হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। সংখ্যাটা ২৫ হাজার ৭৫২। এক নিমেষে কষ্টার্জিত চাকরি হারিয়ে কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁদের মাথার ওপর! এহেন পরিস্থিতিতে ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন’ অনুষ্ঠানে মুখ খুললেন জহর সরকার।
আরও পড়ুন, ‘রাজনীতির কথা’, যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে কমিটির প্রস্তাব উড়িয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা কল্যাণের
এদিন পদত্যাগী সাংসদ জহর সরকার বলেন, দায় তো রাজ্য সরকারের। সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। ওরা সব নষ্ট করে দিল। ওএমআর শিট রাখা উচিত ছিল।ওএমআর শিট না রাখলেও, ওগুলির একটা কপি, যাকে মিরর ইমেজ বলে, যেটা রাখা যায়, অনেক অল্প জায়গায়। সেটা রাখার বাধ্যকতা ছিল। সেগুলিও নষ্ট করে দিল। রাজ্য সরকার, তার এসএসসি আর তার শিক্ষা পর্ষদ, সকলকে বলা হয়েছিল, যে আপনারা ভাগ করে দিন। কিন্তু সেটা ভাগ করতে গেলে তখন তো ধরা পড়ে যাবে। কটাক্ষের সুরে হেসে বলেন তিনি। তারপর স্পষ্ট বলেন, কিন্তু ভাগ করা উচিত ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোহভঙ্গ এইকারণেই, তারপর দেখলাম যে, মোদিকে আমি বারবার স্বৈরাচারি বলি, কিন্তু স্বৈরাচারের চিহ্ন তো এখানেও দেখা যায়। যারা যোগ্য ক্যান্ডিডেট, যারা পরীক্ষায় পাশ করে সফল হয়েছে, তাঁরা চাকরি পেয়েছে , বিয়ে করেছে, বাচ্চা হয়েছে, মা-বাবাকে দেখতে হচ্ছে, তাঁদের কেন এই অভিশাপ। সবাইকে আমি চোর বলব না, কারণ অনেককে বাধ্য করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি না জানতেন, তাহলে বলা হবে যে, শাসক হিসেবে একটা দুর্বলতার পরিচয় দেখালেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেনে যদি এটা ছেড়ে থাকেন, তবে কিন্তু ঠিক কাজ করেননি। অতয়েব না জেনে বা জেনে হলেও, ওনার একটা দায়িত্ব থেকে গেল। এখন উনি বলছেন যে, ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এসো, আমরা কথা বলি। আমি তো চিন্তা করছি, প্রশাসক হিসেবে সে কী কথা বলবে ! আমি তো বুঝতে পারছি না।’
জহর সরকারের সংযোজন, পরীক্ষা হল এমন একটা জিনিস, যেখানে একসময় যে পাশ করছে, সেখানে তাঁকে যদি আবার পরের দিন বা পরের সপ্তাহে ওই পরীক্ষায় বসতে বলা হয়, সে পাশ নাও করতে পারে।আমি হেসে বলতাম, আমি একচান্সে আইএএস পেয়েছি। পরেরবার যদি বসতে বলত , আমি বোধহয় আন্দামান পুলিশ সার্ভিসও পেতাম না। বলা যায় না কিছুই..!’
আরও দেখুন