NOW READING:
বিকাশরঞ্জনের দাবিমতো নতুন করে পরীক্ষায় বসবেন ? যা বলছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা…
January 27, 2025

বিকাশরঞ্জনের দাবিমতো নতুন করে পরীক্ষায় বসবেন ? যা বলছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা…

বিকাশরঞ্জনের দাবিমতো নতুন করে পরীক্ষায় বসবেন ? যা বলছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা…
Listen to this article


কলকাতা : ২০১৬-য় নিযুক্ত হয়ে ৬ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। সেই তাঁরাই আজ চাকরি বাঁচানোর জন্য লড়াইয়ে রাস্তায় নেমেছেন। আজ চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলকালীন নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এনিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, নতুন করে পরীক্ষা দেওয়া কি সম্ভব ? বিকাশরঞ্জনের দাবি নিয়ে কী ভাবছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা ? নতুন করে পরীক্ষায় বসবেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে কী বলছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা ?

এক শিক্ষিকা বলেন, “নতুন করে পরীক্ষায় বসা সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক দাবি। আমরা সকলেই তাঁকে সম্মান জানিয়ে এটাই বলতে পারি, তিনি তো একজন ন্যায়ের আদালত। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি তো একটা উপায় বের করতে পারেন যে, কী করে যোগ্য এবং অযোগ্যকে পৃথক করা যায়। তিনি বারবার কেন গোটা প্যানেলটা বাতিল করার কথা বলছেন ? এর সুরাহা বের করে তিনি যোগ্যদের আলাদা করে, অযোগ্যদের প্যানেল থেকে বাতিল করার কথা বলতে পারেন।” 

আরও এক শিক্ষিকা বলেন, “একমত নই একেবারেই। উনি আইনজীবী হিসাবে একটা ওয়ে-আউট রাখতে পারেন, রি-এক্সামিনেশন দিল হয়তো ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে। কিন্তু আমরা যেটা বারেবারে বলতে চেয়েছি, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, সেটা কিন্তু প্রমাণিত। সিবিআই দ্বারা প্রমাণিত, বাগ কমিটি দ্বারা প্রমাণিত। এসএসসি বলছে কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। সম্মানীয় বিকাশরঞ্জন স্যার নিজেই কিন্তু সিবিআই রিপোর্টকে মান্যতা দিচ্ছেন। সেই ভিত্তিতে উনি কেন সেগ্রিগেশন মেনে নিচ্ছেন না।”  

SSC-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি পর্ব শেষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সমস্ত নিয়োগটাই বেআইনি। মেরিট-ডিমেরিটের প্রশ্ন আসে না। তাহলে ফ্রেশ রিক্রুট করো। সেটা নিয়ে বিচারপতিদের ধারণা ছিল, ফ্রেশ রিক্রুটি মানে আবার সবাইকে ডাকবে। সেটা ক্ল্যারিফাই করলাম। সবাইকে কেন ? যাঁরা তখন অ্যাপিয়ার করেছিলেন, তাঁদেরই আবার চান্স দেওয়া হোক। তাঁরা ফ্রেশ পরীক্ষা দিয়ে আসবেন। তার জন্য যদি বয়সটা কোনও বাধা হয়, সেটাকে খণ্ডন করে দাও। সেগ্রিগেশন সম্ভব নয়। সমস্ত প্রক্রিয়াটাই বেআইনি হয়েছে। যখন কোনও প্রক্রিয়া বোইনি হয়, সেখান থেকে ভালো-মন্দ বাছা যায় না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে কিছু ভালো ছেলে-মেয়ে হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন যদি বিচারপতিরা আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাহলে যাতে ফ্রেশ এঁরাই সিলেক্ট হয়ে আসতে পারেন, সেজন্যই বক্তব্য রেখেছি।”

আরও দেখুন



Source link