দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাত দু’টো নাগাদ স্বামীকে খুঁজতে বের হয়েছিলেন শিল্পী বিবি, ঘটনার সময় স্বামী কোথায় ছিলেন ? বাইরের লোকের থেকে ক্লোজ প্রক্সিমিটিতে যারা থাকেন, তাঁদেরকেও সন্দেহের তালিকায় আনতে হবে, মহেশতলায় নার্সের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায়, বড় প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সলিল ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন, ‘কলেজে কলেজে মনোজিতরা আছে, এরা ভাইপো গ্যাং..’ ! কাদের ‘গ্যালারি’ প্রকাশ্যে আনার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর ?
এদিন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সলিল ভট্টাচার্য বলেন, ‘মহিলাদের নিরাপত্তা -সুরক্ষার প্রশ্ন শুধু আজকেই নয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই উঠছে। কামদুনি-হাঁসখালি-আরজিকর-কসবার ঘটনা প্রতিবারেই এই প্রশ্ন উঠেছে। এটা তো পরিষ্কার, Clear Case of Murder. গলায় বোধহয় ওড়না দিয়ে জড়ানো আছে। পুলিশও তাই বোধহয় Confirm ও করেছে almost. ময়নাতদন্তের পরেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। কিন্তু কথা হচ্ছে যে কারা করল ? ঘটনার সময় শিল্পী বিবির স্বামী কোথায় ছিল তখন ? সেটাও কিন্তু জানতে হবে। মানে সন্দেহের বাইরে কাউকে রাখা যাবে না। আমার মনে হয়, বাইরের লোকের থেকে ক্লোজ প্রক্সিমিটিতে যারা থাকেন, তাঁদেরকেও সন্দেহের তালিকায় আনতে হবে, এবং এই ক্ষেত্রে প্রকৃত যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ধরা পড়বে বলেই আমার বিশ্বাস। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নিরাপত্তা, প্রশ্ন নারী সুরক্ষা। যে মধ্য রাতে হোক বা সন্ধ্যা রাতে হোক, নিজের বাড়ির থেকে ৩০০ মিটার দূরে কেউ যদি মার্ডান হন, সেখানে কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষা বলে কিছু নেই।’
মহেশতলার ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, আতঙ্কে রয়েছেন মহিলারা। বাড়ি থেকে বেরোবেন কী করে এর পর, বড় প্রশ্ন স্থানীয় সবার মুখেই।মৃতার আত্মীয়া সাবিনা বিবি বলেন, ‘আমার দেওর ভাত খেয়ে..চলে গেছে। আমার জা ভাত খেয়ে শুয়ে পড়েছে।আমরাও শুয়ে পড়েছি। কিন্তু জা কখন বেরিয়েছে আমরা জানি না।..আর কাউকে করবে না, এর কোনও গ্যারান্টি আছে ? কত বাচ্চা স্কুলে যায়। কত মা-মাসিরা যায়। আমরা যাই।..যে অন্যায় করেছে তাঁর শাস্তি চাই।’ স্থানীয় বাসিন্দা নুন্নিহার বিবি বলেন, একটা মহিলা এসে আমাদের ডাকল। ডাকলে আমরা উঠলাম। উঠে দেখি ওই কেস। ততক্ষণ অনেকজনে জড়ো হয়ে গিয়েছে। ..পুলিশ তদন্ত করুক। খুঁজে বার করুক। না হলে তো প্রত্যেক বারে বারে এই কেসটা হতে থাকবে। কী করে বের হব। তখন তো সকলেরই ভয় হবে। ‘