রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: ঢোলাহাটের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬ মাসের দুই শিশু, ৬ বছরের শিশুকন্যা-সহ ৮ জনের মৃত্যু ! এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, মুখোমুখি সংঘর্ষ, একাধিক জনের মৃত্যু ! ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা দেশের মাটিতে..
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, যতবার বিস্ফোরণ হয় ততবার প্রশ্ন ওঠে বাজি না অন্য কিছু। নৈহাটি তে বিস্ফোরণ হয়েছিল। গঙ্গার অপর প্রান্তের হুগলির কাচ ভেঙে গেছিল। আমি নিজে পিংলা গেছি। বর্ধমান গেছি। শেষ পর্যন্ত কতজন গ্রেফতার হয়? কতজন সাজা পায়? কেউ জানে না। আমি এগরাতে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেছি। কোনও ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া নেই। কিছুদিনের মধ্যে মানুষ ভুলে যায়। কিছু গরীব মানুষ যারা এইসব কারখানায় কাজ করেন তারা নিজেরাও অনেকসময় জানেন না কি বানাচ্ছেন। আদৌ এই সরকার চিন্তিত? এটা অন্তর্ঘাত কিনা কোনওদিন কেউ ভেবে দেখেছে? কোথায় তৈরি হচ্ছে? কোথায় যাচ্ছে? আগে আমরা শুনেছিলাম এই রাজ্যে তৈরি জিনিস অন্য রাজ্যে যেমন ঝাড়খণ্ড ওড়িশা যাচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশেও যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়গুলো কখনও আলোচনা করেন না। উনি শুধু হিন্দু- মুসলমান করেন। মানুষের প্রাণ যাচ্ছে সেটা নিয়ে উনি কিছু বলেন না। করেন না।
সাংবাদিক: NIA প্রয়োজন?
দিলীপ ঘোষ: আমরা দাবি করছি NIA হোক। কারণ এই সরকার চায় না। ওরা চায় এই ধরণের ঘটনা ঘটুক। মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হোক। ভোটের আগে এরকম ভয়ের পরিবেশ তৈরি হোক। ভোটারদের প্রভাবিত করে। কেউ যেন আতঙ্কে বাড়ি থেকে না বেরোয়। জায়গায় জায়গায় দাঙ্গা বাধানো হচ্ছে। রাজ্যে শান্তিতে থাকার দিন শেষ হয়ে গেছে। আমরা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হস্তক্ষেপ চাইছি।
সাংবাদিক: এগরায় অভিযুক্ত ওড়িশা পালানোর চেষ্টা করেছিল..
দিলীপ ঘোষ: বাইকে চেপে বর্ডার পেরোনোর চেষ্টা করেছিলেন উনি। কেউ কেউ বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পাথরপ্রতিমার কোন ভিতরে প্রত্যন্ত এলাকা। সেখানে এই ধরনের কারখানা কেন? বজবজ বা অন্যন্য এলাকায় তো বাজি ঘরে ঘরে তৈরি হয়। সেখানে এরকম ঘটনা কম ঘটে। কিন্তু এইসব প্রত্যন্ত এলাকায় এরকম ঘটনা ঘটে কেন? রহস্যটা কী?
সাংবাদিক: বিধায়ক বলছেন লাইসেন্স ছিল..
দিলীপ ঘোষ: কীসের লাইসেন্স ছিল? এই ধরণের বিস্ফোরক তৈরির লাইসেন্স ছিল? এটাই তদন্ত হওয়া উচিত। ওই পাওয়ারফুল বিস্ফোরক আসলে কী ছিল? সেখানে কী অন্য কোনও কাজ হচ্ছিল?
সাংবাদিক: বাজি ছিল কি আদৌ?
দিলীপ ঘোষ: এই বাজি তো বাইরে ফাটানো হয়। তখন তো এরকম বিস্ফোরণ হয় না। কিন্তু এখানে এমন বিস্ফোরণ হল কেন? দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল পিংলায়। আমি নিজে গিয়ে দেখেছি। বাড়ি উড়ে গেছে। পাকা বাড়ি। এতো পাওয়ারফুল বাজি হয়?
সাংবাদিক: আপনারা কি যাবেন?
দিলীপ ঘোষ: সরকারের যাওয়া উচিত। প্রশাসনের যাওয়া উচিত। আমরাও যেতে চাই। সরকার যেতে দেবে না। কারণ সরকার সমস্ত তথ্য লোপাট করতে চায়। অপরাধীদের গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ দিতে চায়। ওখান থেকে নৌকা করে বাংলাদেশ চলে যায় অনেকে।
আরও দেখুন