দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হাসপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হল না। ঢোলাহাটের ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল আরও একজনের। এসএসকেএম-এ মৃত্যু সুতপা বণিকের। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, ঢোলাহাটে বাড়িতে মজুত বাজিতে বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৮ ! একই পরিবারের ৩ শিশু-সহ ৮ জনের মৃত্যু। মৃতদের মধ্যে ৬ মাসের দুই শিশু, ৬ বছরের শিশুকন্যা, ৯ বছরের বালক, ৮০ বছরের বৃদ্ধা। ‘প্রায় ১ দশক ধরে বাড়ির মধ্যে বেআইনিভাবে চলছিল বাজি কারখানা’, পুলিশ থেকে বিধায়ক, পঞ্চায়েত সবাই সব জানত, দাবি এলাকাবাসীর। লাইসেন্স থাকার পাল্টা দাবি পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়কের।
বাড়িতে মজুত করা বাজি কাড়ল প্রাণ! দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আগুনে ছারখার গোটা বাড়ি। মৃত্যু হল ৪ শিশু-সহ একই পরিবারের ৭জনের। খোঁজ মিলছে না আরও ৪ সদস্যের। প্রায় ১ দশক ধরে বাড়ির মধ্যে বেআইনিভাবে চলছিল বাজি কারখানা, দাবি স্থানীয়দের একাংশের। লাইসেন্স থাকার পাল্টা দাবি করেছেন পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক। দাউদাউ করে জ্বলছে প্রায় গোটা বাড়িটা!আগুনের লেলিহান শিখার মধ্য়ে পরপর বিস্ফোরণ। চারদিকে কান্না আর স্বজনহারানোর হাহাকার।
এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট। ফের মজুত বাজি থেকে বিরাট বিস্ফোরণ! ফের মৃত্য়ুমিছিল। প্রাণ গেল ৬ মাসের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধার। এই ভয়াবহ বাজি-বিস্ফোরণে মৃত্য়ু হয়েছে ৪ জন শিশু-সহ ৭ জনের। মৃতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য়। সোমবার রাতে মজুত বাজি থেকে আগুনে ছারখার হয়ে যায় গোটা বাড়িটা। কিন্তু, বাড়িতে এত বাজি মজুত ছিল কেন? তৃণমূল বিধায়ক থেকে এলাকাবাসী, সকলেই দাবি করেছেন এখানে বাজি তৈরি হত।
পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, দুই ভাই তুষারকান্তি বণিক, চন্দ্রকান্ত বণিক, এরা দুভাই। এদের লাইসেন্স আছে। এরা এখানে আতসবাজি তৈরি করে। কিছু মাল এদের বাড়িতেই মজুত থাকে। হঠাৎ বাস্ট হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে গোটাটায় আগুন লেগে যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ঢোলাহাটের প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসিন্দা বলেন, বাজির আওয়াজটা এত ঘনঘন হচ্ছে, বুঝতে পারছি কোনও কিছু হচ্ছে। তারপরে জানতে পারলাম এখানে বাজি-টাজি বাঁধত, বোমা বাঁধত।
আরও পড়ুন, এই সিরিজের টিকিটেই উঠল কোটি টাকা ! লটারি জিতেও মাথায় হাত আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দার..
কী কারণে যেন বাস্ট হয়েছে। বিস্ফোরণে মৃত্য়ু হয়েছে ৬ মাসের শিশু অস্মিতা বণিক, অঙ্কিত বণিক। ৬ বছরের অনুষ্কা বণিক। ৯ বছরের অর্ণব বণিক। এছাড়া মৃত্য়ু হয়েছে ২৮ বছর বয়সি সান্ত্বনা বণিক। ৬৫ বছরের অরবিন্দ বণিক এবং ৮০ বছরের প্রভাতী বণিকের। কিন্তু, এতগুলো মানুষের মৃত্য়ু হল যে মজুত বাজি থেকে, তা বাড়িতে ছিল কেন? কোথায় ছিল নজরদারি? সেই প্রশ্ন উঠছে। অগ্নিকাণ্ডের পর বাড়ি সিল করেছে পুলিশ।
আরও দেখুন