গৌতম মণ্ডল, পাথরপ্রতিমা : পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে গৃহস্থের বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ । ঘটনায় ৪ শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের এখনও চারজনের কোনও খোঁজ নেই। গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ থেকে বাড়িতে মজুত বাজিতে আগুন লেগে যায়। তার জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। রায়পুর তৃতীয়ঘেরিতে চন্দ্রকান্ত বণিকের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাসন্তী পুজোর জন্য বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ বাজি মজুত করা ছিল। তা থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গোটা বাড়ি উড়ে যায়।
কী ঘটনা ?
১১ জনের বণিক পরিবার। বিস্ফোরণের ঘটনার পর চারজনের এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই। দীর্ঘদিন ধরে এরা আতসবাজি তৈরি করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। লাইসেন্সও ছিল। ফাঁকা মাঠে বাজি তৈরি করা হত। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, শুধু কি আতসবাজি তৈরি হত ? নাকি শব্দবাজিও ? তার কারণ বিস্ফোরণ তীব্রতা ছিল মারাত্মক। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “হঠাৎ দেখলাম সব বাজি একসঙ্গে ফেটে গেল। ৮টা-সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটা ঘটে।” অপর একজন বলেন, “এসে দেখি লোকে লোকারণ্য।” স্থানীয় আরও এক বাসিন্দার কথায়, “আমাদের যেটা শোনা, এরা ব্যবসা করত ১০ বছর আগে থেকে। লাইসেন্সভুক্ত আছে। স্টোর করেছিল। বাড়ি থেকে কিছু সাপ্লাইয়ের জন্য স্টোর করেছিল। কোনওভাবে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে।”
স্থানীয় আরও এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা লোকমুখে প্রায় ৯টা নাগাদ খবর পাই। খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি। এখানে বাজি তৈরি হয়, আমরা আগে থেকে জানি। প্রায় ৮-১০ বছর হচ্ছে। তবে, ওর একটা বাড়ি আছে। ওখানে কারখানা আছে বলে জানি। বেআইনিভাবে মজুত রাখত। ওখানে মাল তৈরি হয়। বিক্রির জন্য এখানে বাড়িতে রাখে। এখানে কোনও কারণে বিস্ফোরণ হয়ে যায়।”
আরও দেখুন