<p><strong>গৌতম মণ্ডল, পাথরপ্রতিমা :</strong> পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে গৃহস্থের বাড়িতে বিস্ফোরণে চার শিশু-সহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, ১১ জনের পরিবারে বাকি চার জনের কী হল ? তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে, পাথরপ্রতিমার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সমীর জানা বলছেন, "তাঁরা কী অবস্থায় আছেন…কেউ কেউ বলছেন তাঁরা এখান থেকে হসপিটালাইজড হয়েছেন। তাঁরা কোথায় আছেন, কী ব্যাপার আছে সেটা ডিটেলস বলতে পারছি না।" বিস্ফোরণে নিহতদের নাম- অরবিন্দ বণিক (৬৫), অনুষ্কা বণিক (৬), প্রভাতী বণিক (৮০), সান্ত্বনা বণিক (২৮), অর্ণব বণিক (৯), অস্মিতা বণিক (৬ মাস), অঙ্কিত বণিক (৬ মাস)।</p>
<p>এ প্রসঙ্গে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক বলেন, "দুই ভাই। তুষারকান্তি বণিক ও চন্দ্রকান্ত বণিক। এদের লাইসেন্স আছে। এখানেই আতসবাজি তৈরি করে। দূরে আর একটা জায়গা আছে। সেখানেও মালপত্র তৈরি করেন। কিছু মাল এদের বাড়ির ভেতরেই স্টক থাকে। হঠাৎ এতে বিস্ফোরণ হয়ে গিয়েছে। এটা হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটাটায় আগুন লেগে যায়। যারা ভেতরে ছিলেন, বাচ্চা থেকে বয়স্ক, আর একজন কে মহিলা ছিলেন। এরা সাতজনই ভেতর থেকে বেরোতে পারেননি। চারজন বাচ্চা এবং আরও তিন জন…এরা আহত নয়, মারাই গিয়েছেন। অন্যান্য যাঁরা ছিলেন তাঁরা ভেতরে যেতে পারেননি। বাইরে ছিলেন তাঁরা। তাঁরা কী অবস্থায় আছেন…কেউ কেউ বলছেন তাঁরা এখান থেকে হসপিটালাইজড হয়েছেন। তাঁরা কোথায় আছেন, কী ব্যাপার আছে সেটা ডিটেলস বলতে পারছি না। পুরো পরিবারটা ১১ জনের।"</p>
<p><strong>কীভাবে বিস্ফোরণ ?</strong></p>
<p>১১ জনের বণিক পরিবার। বিস্ফোরণের ঘটনার পর চারজনের এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই। দীর্ঘদিন ধরে এরা আতসবাজি তৈরি করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। লাইসেন্সও ছিল। ফাঁকা মাঠে বাজি তৈরি করা হত। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, শুধু কি আতসবাজি তৈরি হত ? নাকি শব্দবাজিও ? তার কারণ বিস্ফোরণ তীব্রতা ছিল মারাত্মক। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "হঠাৎ দেখলাম সব বাজি একসঙ্গে ফেটে গেল। ৮টা-সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটা ঘটে।" অপর একজন বলেন, "এসে দেখি লোকে লোকারণ্য।" স্থানীয় আরও এক বাসিন্দার কথায়, "আমাদের যেটা শোনা, এরা ব্যবসা করত ১০ বছর আগে থেকে। লাইসেন্সভুক্ত আছে। স্টোর করেছিল। বাড়ি থেকে কিছু সাপ্লাইয়ের জন্য স্টোর করেছিল। কোনওভাবে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে।" </p>
<p>স্থানীয় আরও এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা লোকমুখে প্রায় ৯টা নাগাদ খবর পাই। খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি। এখানে বাজি তৈরি হয়, আমরা আগে থেকে জানি। প্রায় ৮-১০ বছর হচ্ছে। তবে, ওর একটা বাড়ি আছে। ওখানে কারখানা আছে বলে জানি। বেআইনিভাবে মজুত রাখত। ওখানে মাল তৈরি হয়। বিক্রির জন্য এখানে বাড়িতে রাখে। এখানে কোনও কারণে বিস্ফোরণ হয়ে যায়।"</p>
<p>শুধু আতসবাজি নয়, শব্দবাজিও মজুত ছিল বলে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু, জনবহুল এলাকায় একটি বাড়িতে কী করে শব্দবাজি মজুত রাখা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তীব্র বিস্ফোরণে দোতলার পুরো বাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দেওয়াল ভেঙে পড়ে। </p>
Source link
১১ জনের পরিবারের ৭ জনেরই মৃত্যু বিস্ফোরণে, বাকি ৪ জন কোথায় ? যা জানালেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক…
