পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : কাশ্মীর থেকে দিল্লি হয়ে বাংলাদেশে পালানোর জন্য বাংলাকেই সেফ প্যাসেজ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল সন্দেহভাজন জঙ্গি জাভেদ আহমেদ মুন্সি। বেঙ্গল STF সূত্রে খবর, পরিকল্পনা ছিল বাংলা থেকে বাংলাদেশে নদীপথে পালানোর। সেক্ষেত্রে জলপথে দু’টি রাস্তা। একটি হল, ক্যানিং থেকে সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় রাস্তা হল, সন্দেশখালি হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার। ক্যানিং থেকে ধামাখালি সড়কপথে ৩০ কিলোমিটার। স্থানীয়রা বলছেন, সন্দেশখালি থেকে চোরাপথেও পৌঁছনো যায় ওপারে। এছাড়া, ধামাখালি ঘাট থেকে রায়মঙ্গল নদী ধরে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগরে পৌঁছতে পারলে বাংলাদেশ হাতের মুঠোয়। ওপারে সাতক্ষীরা জেলার কৈখালি। তবে এই পথে BSF-এর নজরদারি বেশি থাকায় বেআইনি পারাপারে সমস্যা। আরেকটি পথ হল, সন্দেশখালি হয়ে খুলনা ঘাটে পৌঁছনো। সেখান থেকে ভাণ্ডারখালিতে গিয়ে তিনদিকে নদী পথ। একটি ভাণ্ডারখালি, আরেকটি দুলদুলি, তৃতীয় জলপথ লেবুখালি। এই পথে গেলে ওপারে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই নদীপথেই বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল সন্দেহভাজন কাশ্মীরি জঙ্গি।
কাশ্মীরের জঙ্গি ক্যানিংয়ে। রবিবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্য়ানিং থেকে সন্দেহভাজন জঙ্গি জাভেদ আহমেদ মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। বেঙ্গল STF সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে মিলেছে শ্রীনগরের ঠিকানায় আধার কার্ড, ৫০ হাজার টাকা এবং হাতে লেখা বেশ কিছু নোট। সেগুলি ডিকোড করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ক্যানিং থেকে বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার ছক কষেছিল শ্রীনগরের বাসিন্দা জাভেদ আহমেদ মুন্সি। ৫৮ বছরের এই জঙ্গি তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার পাশাপাশি, একাই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গড়ে তোলার কাজ চালাচ্ছিল। হাতে লেখা নোটে কী ছিল? নাশকতামূলক কাজের নির্দেশ? নাকি কীভাবে গোটা পরিকল্পনা সাজানো হবে, তার ছক? বাজেয়াপ্ত করা হাতে লেখা নোট ডিকোড করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বেঙ্গল STF।
বিস্তারিত আসছে…
আরও দেখুন