জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশের ছয় জেলায় বন্যার (Flood Intimation) পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ জল উন্নয়ন বোর্ড (Bangladesh Water development Board)। সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব এলাকার নদ-নদীসমূহ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। একই সঙ্গে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জল উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী দুই দিন চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী ইত্যাদি নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; এবং এই সময় মুহুরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে ফেনী জেলার মুহুরী নদীর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। পরবর্তী একদিন নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: Illegal citizenship in India of Bangladeshi woman: রোহিঙ্গা নাকি! হিলিতে তিন তরুণী পুলিসের হাতে, বাংলাদেশ ছেড়ে কোন মতলবে? ভয়ংকর…
এছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় উক্ত নদীসমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেতে পারে; এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। আগামী দুদিন পর্যন্ত বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক অপেক্ষা অধিক উচ্চতায় জোয়ার পরিলক্ষিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: Md Yunus: ‘ইউনূস রাজনীতি বোঝেন না! ওঁকে গদি ছাড়তে হবে না, ওঁকেই তাড়ানো হবে…’
এদিকে সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী তিনদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জাগো নিউজকে বলেন, ছয় জেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে জল নেমে যাবে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৩) এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (২৯ মে) সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে এবং ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিমি’র মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)