পিয়ালী মিত্র ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: কলকাতাতেও ট্যাব জালিয়াতি! বিভিন্ন থানায় শতাধিক অভিযোগ দায়ের। তদন্তে এবার সিট গঠন করল কলকাতা পুলিস। জালিয়াতির শিকার ৩০০ জন পড়ুয়ার অ্য়াকাউন্টে পৌঁছে গেল টাকাও। সূত্রের খবর তেমনই।
আরও পড়ুন: Governor CV Ananda Bose | Speakar: ‘আমার তো মনে হয়…’ রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্পিকার!
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে ফের চালু হয়ে গিয়েছে ‘তরুণের স্বপ্ন’। স্রেফ দ্বাদশ শ্রেণি নয়, এই প্রকল্পে এবার একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের জন্য টাকা দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু জেলায় জেলায় সেই টাকা হ্যাকাররা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিস সূত্রে খবর, সব জেলা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭৮১ পড়ুয়ার টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ঝাড়গ্রামে। চলছে ধরপাকড়ও।
বাদ নেই কলকাতাও। ট্যাবের টাকা না পেয়ে শহরের ১০ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন একশোরও বেশি পড়ুয়া। জালিয়াতির অভিযোগ ওঠেছে সরশুনা, যাদবপুর, ভবানীপুর, জোড়াবাগান, জোড়াসাঁকো, গল্ফগ্রিনের মতো এলাকায়। কীভাবে জালিয়াতি? যেভাবে একের এক অভিযোগ আসছে, তাতে সংগঠিত ভাবে অপরাধ চলছে বলে মনে করছেন লালবাজারের আধিকারিকরা।
নিয়ম অনুযায়ী, স্কুল থেকে পড়ুয়াদের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয় ডিআই অফিসে। ডিআই অফিস থেকে শিক্ষা দফতর হয়ে সেই তালিকায় পৌঁছে যাওয়ার কথা অর্থ দফতরে। এরপর একটি নির্দিষ্ট পোর্টালে যাবতীয় তথ্য আপলোড করা হয়। পুলিস সুত্রে খবর, পোর্টালের পড়ুয়াদের ফোন নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল করেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: Kolkata: রেফার রোগে চূড়ান্ত হয়রানি! বর্ধমান থেকে টোটোয় কলকাতা, তাতেও স্ত্রী বাঁচবে কি না জানেন না স্বামী…
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের এখনও পর্যন্ত ট্যাব জালিয়াতির শিকার ৬০০ জন। তাঁদের মধ্যে ৩০০ জনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরাও যাতে টাকা পায়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টাকা পাঠানোর আগে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভুল অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে টাকা উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)