NOW READING:
Shraddha Walkar: করে যেতে পারলেন না মেয়ের অন্ত্যেষ্টি! হৃদরোগে মৃত ‘৩১ টুকরো’ শ্রদ্ধার বাবা…
February 10, 2025

Shraddha Walkar: করে যেতে পারলেন না মেয়ের অন্ত্যেষ্টি! হৃদরোগে মৃত ‘৩১ টুকরো’ শ্রদ্ধার বাবা…

Shraddha Walkar: করে যেতে পারলেন না মেয়ের অন্ত্যেষ্টি! হৃদরোগে মৃত ‘৩১ টুকরো’ শ্রদ্ধার বাবা…
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  ঠিক দু’বছর আগে দিল্লির বুকে এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে যায়। ২৮ বছরের মুম্বইয়ের ফুডব্লগার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawalla) তাঁর লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে (Shraddha Walkar) রাগের মাথায় ৩৫ টুকরো করে ফেলেছিল। দিল্লিরই বাসিন্দা শ্রদ্ধা। আর এই হত্যার পর ১৮ দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো ছড়িয়েছিল আফতাব।

আরও পড়ুন:  ১.৫১ কোটি টাকা, ৩০ ভরি সোনা! থালায় ডাঁই করে সাজিয়ে আসরে হাজির কনের বাড়ি, তারপর…

দিল্লি পুলিস ৬৬০০ পাতার যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, সেখানে গা শিউরে ওঠার মতো সব তথ্যই উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে আফতাব শ্রদ্ধাকে খুন করার পর, তাঁর হাড় স্টোন গ্রাইন্ডারে (একপ্রকারের মিক্সার) গুঁড়িয়ে, পাওডার বানিয়ে রাস্তায় ছড়িয়েছিল। আফতাব লাশের টুকরোগুলিকে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিসকে। এখানেই শেষ নয়, আফতাব ওভাবে খুন করার পর জোমাটো থেকে চিকেন রোল এনে ডিনার করেছিল ওই রাতে।

তারপর থেকে তিহাড় জেলে বন্দি অভিযুক্ত আফতাব। কিন্তু আফতাবের শাস্তি হওয়ার আগেই হৃদরোগে মৃত্যু হল শ্রদ্ধার বাবা বিকাশমদন ওয়ালকরের। করে যেতে পারলেন না মেয়ের অন্ত্যেষ্টি! রবিবার মহারাষ্ট্রের পালঘরে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বিকাশমদনের। ছেলের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। রবিবারই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। 

আফতাব-শ্রদ্ধা দু’জনেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। আফতাব ওয়াসি অঞ্চলে থাকে। পেশায় ফুড ব্লগার। ভাই আহাদ পুনাওয়ালার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পেজ চালাত। ইনস্টাগ্রামে রয়েছে ‘হাংগ্রি চক্র’ বলে এক ইনস্টাগ্রাম ফুড ব্লগ অ্যাকাউন্ট। আফতাব-শ্রদ্ধার কাজের সূত্রেই মুম্বইতে আলাপ হয়েছিল। কিন্তু দুই বাড়ি থেকে এই সম্পর্কে সম্মত্তি ছিল না। এরপর আফতাব-শ্রদ্ধা দিল্লির ছত্তরপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে।  শ্রদ্ধা যখন বিয়ের জন্য আফতাবকে জোরাজুরি করতে থাকেন, তখনই রাগের মাথায় আফতাব চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। শ্রদ্ধার বাবার থেকে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েই মুম্বই পুলিস যোগাযোগ করে দিল্লি পুলিসের সঙ্গে। গতবছর ২২ মে আফতাব-শ্রদ্ধার মধ্যে বিয়ে সংক্রান্ত কারণেই ঝগড়া বেঁধেছিল। এরপর আফতাবের নৃশংসতার শিকার হন শ্রদ্ধা। আফতাব ছুরি হাতে শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করে ফেলে। এরপর বাড়িতে একটি ফ্রিজ নিয়ে এসে দেহের টুকরোগুলি ঢুকিয়ে রাখে। এরপর আফতাব পরের ১৮ দিন রাতের অন্ধকারে, দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: এ কোন রাজ্য! শিক্ষককে ১৮ বার চড় প্রিন্সিপালের! গুজরাটের ভিডিয়ো ভাইরাল…

নভেম্বর মাসে জল্পনা ছড়ায় যে, মুম্বইয়ে বাবা সিদ্দিকি-খুনের তদন্ত করতে গিয়ে মুম্বই পুলিশ জানতে পেরেছে বিশ্নোই গ্যাংয়ের শুটারেরা মারতে চেয়েছিলেন আফতাবকেও। তারপর থেকেই আফতাবের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু মেয়ের বিচার দেখে যেতে পারলেন না বাবা। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি বিচার পাবেন শ্রদ্ধা। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link