জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতবারের ডুরান্ড রানার্স ইস্টবেঙ্গলকে এবার থেমে যেতে হল কোয়ার্টার ফাইনালেই। শিলং লাজংয়ের কাছে ২-১ হেরেই কলকাতায় ফিরছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের লাল-হলুদ। হতশ্রী ডিফেন্সেই মশালবাহিনীর আগুন নিভে গেল পাহাড়ে! শিলংয়ের পোলো গ্রাউন্ডে আই-লিগের টিম ‘দ্য রেডস’ আইএসএলের ‘রেড অ্যান্ড গোল্ড’ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে রীতিমতো আধিপত্য় নিয়ে খেলেই জিতল।
টুর্নামেন্টের গ্রুপ লিগে ব্য়াক-টু-ব্য়াক দুই ম্যাচ জেতা ইস্টবেঙ্গল গত সপ্তাহে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাছাই পর্বের খেলায় তুর্কমেনিস্তানের আলটিন আসিরের কাছে ২-৩ হেরে যে ধাক্কা খেয়েছিল সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারল না। ডিফেন্সই ছিল ইস্টবেঙ্গলের চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ। আর সেই অত্য়ন্ত খারাপ ডিফেন্সিংয়েরই মাশুল দিতে হল গঙ্গাপারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবকে। ২০০৪ সালে শেষবার ডুরান্ড জেতা দল ২০ বছরেও ট্রফির খরা কাটাতে পারল না। ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ড থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গেই ডার্বির আলোও নিভে গেল।
আরও পড়ুন: আন্তঃমহাদেশীয় কাপে এই ২৬, সন্দেশহীন দলে কিংবদন্তির পুত্র! ইস্ট-মোহন থেকে কতজন?
লাজংয়ের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের যে দম বেরিয়ে যাবে তার পূর্বাভাস ছিল আগেই। এদিন খেলার ৮ মিনিটের মাথায় পাহাড়ি দলকে এগিয়ে দেন রুডওয়ের। কর্নার থেকে তাঁর করা গোলের সময়ে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের ভূমিকা ছিল একেবারের নীরব দর্শকের মতো। ইস্টবেঙ্গলের তারকাখচিত দলের হয়ে একজনকেই এদিন চোখে পড়ল। তিনি নন্দকুমার। এক গোলে পিছিয়ে থাকা দলকে টেনে তোলার মরিয়া প্রয়াস শুধু দেখা গেল তাঁর মধ্য়েই। বাকিদের শরীরী ভাষা দেখে মনে হচ্ছিল না যে, তাঁদের জেতার তাগিদ আছে। এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে মাঠ ছাড়ে শিলং। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৭ মিনিটে সেই নন্দকুমারই গোল করে লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান। বিষ্ণুর দুরন্ত ক্রস থেকে নন্দ গোল করে বেরিয়ে যান। এরপর জার্সি তুলে তিনি ইনারে লেখা ‘রেসপেক্ট উইমেন’ বার্তা দেখান। নন্দও আরজি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবি জানালেন নিজের মতো করেই।
নন্দর গোলের রেশ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৮৩ মিনিটে স্কোরলাইন ২-১ করে ফেলে শিলং। পরিবর্ত হিসেবে নামা ফিগোর গোল আবারও তুলে আনে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের কঙ্কালসার চেহারাটা। এদিন নির্ধারিত সময়ের পর সাত মিনিট অতিরিক্ত যোগ করেছিলেন রেফারি। রেফারির বাঁশি বাজানোর ঠিক আগের মুহূর্তে ক্লেটন সিলভার শট যদি গোললাইন সেভ না হত, তাহলে খেলা টাইব্রেকারে গড়াতে পারত। কিন্তু তেমনটি হয়নি। হেক্টর ইয়ুস্তে চলে এসেছেন ইস্টবেঙ্গলে। প্রভাত লকরা, লালচুংনুঙ্গা, হিজাজিদের সঙ্গে তিনি এবার কী করেন সেটাই দেখার। এরকম ডিফেন্সের অবস্থা থাকলে ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলেও রীতিমতো ভুগতে হবে।
আরও পড়ুন: বাধ্য হয়েই BCCI ছাড়ছেন জয়! কার্যত পড়ে গেল সিলমোহর, বিরাট ব্রেকিংয়ে ধেয়ে এল প্রলয়
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)