জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২৪ সালে সারা বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয় হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকার বিরোধী আন্দোলন। সেই বিক্ষোভের পর তাঁকে পদত্যাগ করতে হয় তড়িঘড়ি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবে এখন জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া এই পরিবর্তনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন- Earthquake in Pakistan: প্রকৃতির মার! ২ সপ্তাহের মাথায় ফের ভয়ংকর ভূমিকম্প পাকিস্তানে…
বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-র রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতে শুনানির সময় শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে যখন আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবনের দিকে এগিয়ে আসার সময় সেনা কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলেন। তখন শেখ হাসিনা বলেন, “আমাকে গুলি করে মারো এবং বঙ্গভবনে (রাষ্ট্রপতির বাসভবন) দাফন করো।” এটি ছিল পদত্যাগের আগে শেখ হাসিনার শেষ কথা। এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার পর মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হয়। তিনি কয়েক মাসের জন্য এই দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানান। তবে এখনও বাংলাদেশের ছাত্ররা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে এবং বর্তমানে ইউনুসের সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন- Muhammad Yunus on India: আমি বেশিদিন নেই! ভারতই বাংলাদেশকে শেষ করবে: ইউনূস
গত বছর শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সেনাবাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এখন তারা চায় দেশের নির্বাচন দ্রুত অনুষ্ঠিত হোক, যাতে তারা আবার নিজেদের ব্যারাকে ফিরতে পারে। শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থির হয়ে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জরুরি বৈঠক করে, যেখানে পাঁচজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, আটজন মেজর জেনারেল (জিওসি), বিভিন্ন স্বাধীন ব্রিগেডের কমান্ডার এবং সেনা সদর দফতরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)