NOW READING:
‘যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছেন…’, বিকাশের রি-এক্সামিনেশন সওয়াল নিয়ে কী বলছে SFI ?
January 28, 2025

‘যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছেন…’, বিকাশের রি-এক্সামিনেশন সওয়াল নিয়ে কী বলছে SFI ?

‘যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছেন…’, বিকাশের রি-এক্সামিনেশন সওয়াল নিয়ে কী বলছে SFI ?
Listen to this article



<p><strong>কলকাতা :</strong> ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়ালের বিরোধিতায় এসএফআই। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা অসম্ভব, সমস্ত প্যানেল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষার পক্ষে গতকাল সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর সেই সওয়ালের বিরোধিতায় এসএফআই।</p>
<p>SFI-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, বিকাশবাবু একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। উনি আইনজীবীর জায়গা থেকে ওঁর যা মনোভাব তা রেখেছেন। আমাদের এটাই মনোভাব, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে হবে। এই আলাদা করার দায় সরকারের। সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিচারব্যবস্থার এই দায় নয়। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার দায় বিচারব্যবস্থার নয়। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার দায় সরকারের। তদন্ত-প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বেশ কিছুটা অগ্রসর হয়েছিল এইদিকে যে, কারা অযোগ্য সেই লিস্ট করার প্রক্রিয়া। তাহলে সেই প্রক্রিয়াটা কেন থেমে গেল ? আমাদের পরিষ্কার স্ট্যান্ড, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে হবে। যদি রি-এক্সামিন করতে হয় তাহলে অযোগ্য মনে করা হয়েছে যাঁদের, যাঁদের অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের রি-এক্সামিন করো। যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছেন তাঁরা কেন রি-এক্সামিনড হবেন?</p>
<p>যদিও SFI-এর দাবিকেই গুরুত্বই দিতে নারাজ বিকাশরঞ্জন। তিনি বলছেন, "এসএফআইয়ের সিদ্ধান্ত। ওরা ওদের মতো করে করেছে। গোটা <a title="কলকাতা হাইকোর্ট" href="https://bengali.abplive.com/topic/calcutta-high-court" data-type="interlinkingkeywords">কলকাতা হাইকোর্ট</a> প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। আজ হাইকোর্টের রায়কেই অন্য পক্ষ আবেদন করেছে, তার বিরুদ্ধে আমাকে হাইকোর্টের রায়ের পক্ষেই সওয়াল করতে হবে। দুর্নীতি যদি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়, সেখানে ভালো-মন্দ বাছাই করা যায় না। এটাই আমার বক্তব্য ছিল। এসএফআই কী বলছে, এবিটিএ কী বলছে এটা কোনও বিচার্য্য বিষয় নয়। আমি নৈতিকভাবে মনে করি, দুর্নীতিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যা সৃষ্টি হয়েছে তা বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত। আইনগত দিক থেকে তো বটেই। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হলে সেখানে কোনও রকম ক্ষমার জায়গা নেই। সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্টও আছে। লড়াইটা মূলত হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তাহলে কি কিছু সুবিধা পেলে আমাকে দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করতে হবে ? সেই নীতিতে আমি বিশ্বাস করি না। এটা কে ঠিক করবে যে সঠিক পদ্ধতি মেনে পেয়েছেন ? নির্ণয়ের মানটা কী হবে ? এমনও দেখা গেছে, পরীক্ষা না দিয়ে পেয়েছেন। এরকম আরও কত লুকিয়ে আছে কে জানে !"&nbsp;</p>
<p>SSC-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় গতকাল <a title="সুপ্রিম কোর্ট" href="https://bengali.abplive.com/topic/supreme-court" data-type="interlinkingkeywords">সুপ্রিম কোর্ট</a>ের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি পর্ব শেষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "সমস্ত নিয়োগটাই বেআইনি। মেরিট-ডিমেরিটের প্রশ্ন আসে না। তাহলে ফ্রেশ রিক্রুট করো। সেটা নিয়ে বিচারপতিদের ধারণা ছিল, ফ্রেশ রিক্রুটি মানে আবার সবাইকে ডাকবে। সেটা ক্ল্যারিফাই করলাম। সবাইকে কেন ? যাঁরা তখন অ্যাপিয়ার করেছিলেন, তাঁদেরই আবার চান্স দেওয়া হোক। তাঁরা ফ্রেশ পরীক্ষা দিয়ে আসবেন। তার জন্য যদি বয়সটা কোনও বাধা হয়, সেটাকে খণ্ডন করে দাও। সেগ্রিগেশন সম্ভব নয়। সমস্ত প্রক্রিয়াটাই বেআইনি হয়েছে। যখন কোনও প্রক্রিয়া বোইনি হয়, সেখান থেকে ভালো-মন্দ বাছা যায় না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে কিছু ভালো ছেলে-মেয়ে হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন যদি বিচারপতিরা আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাহলে যাতে ফ্রেশ এঁরাই সিলেক্ট হয়ে আসতে পারেন, সেজন্যই বক্তব্য রেখেছি।"</p>



Source link