প্রসেনজিত্‍ মালাকার: আরজি কর-কাণ্ডে (R G Kar Incident) কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তের পর এবার ইডি ED (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) সন্দীপ ঘোষকে তলব করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আইন অনুযায়ী যা হওয়ার, তা হবেই।” তিনি কোনো পক্ষপাতিত্ব না করলেও আইন এবং তদন্তের ওপর তার আস্থা প্রকাশ করেন। সন্দীপ ঘোষের তলব এবং এই তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও, আইনের পথে তদন্ত এগোনো উচিত বলে তিনি মনে করেন। 

আরও পড়ুন- Dev on Kanchan: ‘এই কাঞ্চন মল্লিককে চিনি না’, ক্ষমা চাইলেন দেব…

অন্যদিকে, এই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে(Rituparna Sengupta) ঘিরে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধে। সম্প্রতি তিনি কলকাতার শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড়ে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একটি আন্দোলনে যোগদান করতে গেলে আন্দোলনকারীদের একাংশ তাকে “গো ব্যাক” স্লোগান দেয়। সেখানে উপস্থিত কিছু মানুষ তাকে হেনস্থা করতে শুরু করে। ঋতুপর্ণা এই ঘটনার সম্মুখীন হয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান যে তিনি স্তম্ভিত, কম্পিত, লজ্জিত। তিনি জানান, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি অন্যদের মতোই তার মতামত প্রকাশ করতে এবং যেকোনও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অধিকার রাখেন।

এই ঘটনার পর অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “গেলেও দোষ, না গেলেও দোষ।” তার কথায়, “একজন শিল্পী যদি কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন, তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আবার যদি না যান, তাহলেও তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের বোঝা উচিত, যারা এই ধরনের আচরণ করছেন, তারা আসলে কী চাইছেন।” শতাব্দী রায় স্পষ্ট করেন যে, এমন আচরণ শিল্পী এবং সাধারণ নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও পড়ুন- National Award: ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড না পেলে মরে যাব না…’

এই প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় আরও বলেন, “প্রতিবাদ বা আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু সেই অধিকার ব্যবহারের সময় একজন শিল্পী বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে হেনস্থা করা কোনোভাবেই উচিত নয়। আমাদের সকলেরই উচিত, একজন নাগরিক হিসেবে তার মত প্রকাশের অধিকারকে সম্মান করা।”শতাব্দী রায় এই মন্তব্য করেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এক বিশেষ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে এসে। সেখানে তিনি শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। তার মতে, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি একটি দেশের মেরুদণ্ড। তিনি বলেন, “আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং শিক্ষার মান উন্নত হলে সমাজ এগিয়ে যাবে।”

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *