সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি যাওয়াই কাল হল মা দীপা বর্মন চৌধুরীর। অকালে ১৫ বছরের ফুটফুটে মেয়েটিকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হ’ল। কাঠের বাটাম দিয়ে ভাগনির মাথায় আঘাত করায় আর প্রাণ ফিরল না একরত্তি মেয়েটির। হতভাগিনী তরুণীর নাম বাণী চৌধুরী (১৫)।
মোবাইল ফোনে কথা বলার ‘অপরাধে’ ভাগ্নীকে কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন মামা নিরঞ্জন বর্মন। আর সেই মারের চোটেই মৃত্যু হল ভাগ্নি বাণী চৌধুরীর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার ধনকৈল এলাকায়। অভিযুক্ত মামা নিরঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
নিহত নাবালিকার নাম বাণী চৌধুরী, সে কালিয়াগঞ্জের লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বাণীর মা দীপা চৌধুরী তার দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। দাদুর বাড়িতে পৌঁছে বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন বাণী। সেইসময় তার মামা নিরঞ্জন বর্মন তার কাছে জানতে চায়, সে কার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছে। সদুত্তর না পেয়ে চেলা কাঠ দিয়ে বাণীর মারতে শুরু করে থাকে মামা নিরঞ্জন। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই ১৫ বছরের নাবালিকা।
তড়িঘড়ি তাকে প্রথমে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর সেখানেই মৃত্যুর কাছে হার মানে বাণী। বিষয়টি জানাজানি হতেই রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকেই নিরঞ্জনকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, কুম্ভমেলায় সন্তানের মৃত্যু, নিথর দেহ দেখে অজ্ঞান মা, সহায় হল ব্যাগে রাখা হ্যাম রেডিও-র ভিজিটিং কার্ড !
আরও দেখুন