সুনীত হালদার, সাঁতরাগাছি: সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে (Santragachhi Signal Problem) সিগন্যাল বিভ্রাটের জেরে যাত্রী ভোগান্তি এখনও চলছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে ছাড়ছে। যার ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের: সাঁতরাগাছি রেলইয়ার্ডে সিগন্য়াল বিভ্রাটের জেরে ব্য়হত হাওড়া স্টেশনের দক্ষিণ পূর্ব শাখার ট্রেন চলাচল। বাতিল করা হয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে ছাড়া হচ্ছে বহু ট্রেন। সোমবার থেকে বুধবার এই ছবির পরিবর্তন হল না। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে খবর, হাওড়া-মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে ছাড়ছে। আজ হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা এক্সপ্রেস, দিঘা-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে এই গরমে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। রেলের অনুসন্ধান অফিসের সামনে যাত্রীদের ভিড়। দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে এই বিপত্তি।
হাওড়া স্টেশনের দক্ষিণপূর্ব শাখায় সিগন্য়ালিং ব্য়বস্থা উন্নত করার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরেও নন ইন্টারলকিং সিগন্য়াল সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ না করার ফলে সোমবার থেকে সমস্যা দেখা দেয়। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। মঙ্গলবারের পর বুধবারও পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। যার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। গতকালের মতো আজ বুধবারও যাত্রাপথও বদল করা হয়েছে বেশকিছু ট্রেনের। ভঞ্জপুর-শালিমার এক্সপ্রেস খড়গপুর পর্যন্ত চলবে, ঠিক তেমনি খড়গপুর থেকে ছাড়বে শালিমার-ভঞ্জপুর এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাওড়া-আদ্রা এক্সপ্রেস ছাড়বে খড়গপুর থেকে, আদ্রা-হাওড়া এক্সপ্রেস চলবে খড়গপুর পর্যন্ত।
দিনকয়েক আগে ব্যস্ত সময়ে দমদমে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ডাউন বনগাঁ লোকাল। তার জেরে একদিকে যাত্রীদের মধ্য়ে ছড়ায় আতঙ্ক। আর তারপর দীর্ঘক্ষণ পোহাতে হয় ভোগান্তি। গত বুধবার বেলা ১২.১৫ নাগাদ, দমদম স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকছিল ডাউন বনগাঁ লোকাল। ট্রেনে ছিল থিকথিকে ভিড়। হঠাৎ ট্রেনের একদম পিছনের বগির ২ টি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেন দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। দমদম স্টেশনে পৌঁছন ডিআরএম শিয়ালদা সহ রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি ডাকা হয় রেলের টেকনিকাল স্টাফদের। শুরু হয় ট্র্যাকের ওপর ট্রেনের লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া বগি তোলার কাজ। এই ঘটনার জেরে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল।
আরও দেখুন