NOW READING:
ফের ‘মহাজোট’ বার্তা শমীকের, ‘BJP হালে পানি পাচ্ছে না’, বললেন অধীর, শতরূপ বললেন…
July 6, 2025

ফের ‘মহাজোট’ বার্তা শমীকের, ‘BJP হালে পানি পাচ্ছে না’, বললেন অধীর, শতরূপ বললেন…

ফের ‘মহাজোট’ বার্তা শমীকের, ‘BJP হালে পানি পাচ্ছে না’, বললেন অধীর, শতরূপ বললেন…
Listen to this article


কলকাতা: রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি হয়েই ‘মহাজোটে’র বার্তা দিয়েছিলেন। যার যার পতাকা তুলে রেখে, সিপিএম-কংগ্রেসকে বিজেপি-র সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মেলাতে আর্জি জানিয়েছিলেন। ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যের দুই বিরোধী দলকে ফের জোটবার্তা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, বৃহত্তর স্বার্থকে এগিয়ে রাখার কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে। (West Bengal BJP)

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার কলকাতার রেড রোডে বিশেষ অনুষ্ঠানোর আয়োজন করে বিজেপি। সেখান থেকেই ফের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘মহাজোটে’র বার্তা দেন শমীক। বলেন, “বাংলাদেশে ইন্দিরা গাঁধী লাইব্রেরির ৭০ হাজার বই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদে যে শিক্ষকের কাছে আগের দিন পড়েছেন, পর দিন তাঁকেই তলোয়ার নিয়ে আক্রমণ করা হল। এটা হচ্ছে মৌলবাদ, ধর্মান্ধ ইসলামি ফ্যাসিবাদ। গোটা পৃথিবীর জন্য অভিশাপ এই মৌলবাদ। মানসভ্যতার ক্যান্সার। এটা থেকে মুক্তি পেতে হবে। আর এই মুক্তির পথ একা কোনও রাজনৈতিক দল বের করতে পারবে না। এগিয়ে আসতে হবে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে।” (Samik Bhattacharya)

কোনও রকম রাখঢাক না করেই শমীক ইতিহাস টেনে আনেন। বলেন, “বামপন্থীদের মনে রাখতে হবে, সুভাষ চক্রবর্তী বলতেন, লিডার অফ দ্য লিডার্স। তাঁর দূরদর্শিতা ছিল। জানতেন, এমন পরিণতি হবে একদিন। তাই ১৯৪৭ সালে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন। আজ সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আনা হয়েছে পয়লা বৈশাখে। সেই বিধায়কদের শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচিত বলেও, শ্যামাপ্রদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলেন। প্রণাম জানাই জ্যোতি বসু এবং রতনলাল ব্রহ্মকে, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করেছিলেন। সেই ইতিহাস যাঁরা কলঙ্কিত করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।”

শমীক আরও বলেন, “নিজের মতাদর্শ সরিয়ে রেখে শ্যামাপ্রসাদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। এটা পশ্চিমবঙ্গ রক্ষার লড়াই। ইন্দিরা গাঁধীর হাতে সব অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী। আজকের লড়াইটাও রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার লড়াই। জ্যোতি বসুকে সম্মান করলে তাঁর গড়া পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।”

কিন্তু শমীকের প্রস্তাব কার্যত পত্রপাঠ নাকচ করে দেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “কবে ইন্দিরা গাঁধীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন? ভারতের সাম্প্রদায়িক শক্তি, যারা দেশের সংবিধান পাল্টাতে যায়, হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করে যারা দেশের ঐক্য, সাম্য, সমানাধিকার খতম করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সবার এক হওয়া দরকার। আর সেই কাজটাই করে কংগ্রেস। বাংলায় হালে পানি পাচ্ছে না বলে এখন বলছে, সব এক হও, হিন্দু মুসলিম এক হও। আমরা বলব, সবাই এক হয়ে বিজেপি তাড়াও।”

সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষও কটাক্ষ ছুড়ে দেন। তাঁর কথায়, “জ্যোতি বসুর বাংলাকে জ্যোতি বসুর দলই রক্ষা করবে। তার জন্য বিজেপি-র ভাড়াটে লোক লাগবে কেন? শমীক ভট্টাচার্য শিক্ষিত মানুষ, সজ্জন মানুষ। ভাল করেই জানেন যে জ্যোতি বসু বলতেন, ‘বিজেপি অসভ্য-বর্বরদের দল’। অটলবিহারি বাজপেয়ীকে বলেছিলেন, ‘আপনাদের দল অসভ্য-বর্বরদের দল। সভ্য সমাজে আপনাদের দলের স্থান থাকা উচিত নয়।’ ফলে জ্য়োতি বসুর পথে বাংলাকে রক্ষা করতে গেলে, তাঁর দেখানো অসাম্প্রদায়িক বাংলাকেই রক্ষা করতে হবে। উনি বাংলায় বিজেপি-র সভাপতি হওয়ার পর দুর্গাপুজোর ভাসান ও তাজিয়া একসঙ্গে দেখতে চেয়েছিলেন। আমিও বলব, সামনের বার আপনিও বামেদের ভোট দিন, আপনার দলের লোকারেও দিন। বাংলায় বামফ্রন্ট সরকার এলে আপনার ভাসান ও তাজিয়া একসঙ্গে দেখার স্বপ্ন পূর্ণ হবে।”



Source link