NOW READING:
স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড, হাইকোর্টের দ্বারস্থ মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসক
January 22, 2025

স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড, হাইকোর্টের দ্বারস্থ মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসক

স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড, হাইকোর্টের দ্বারস্থ মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসক
Listen to this article


কলকাতা: স্যালাইনকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের সাসপেন্ডেড চিকিৎসক। আদালতের দ্বারস্থ হলেন চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়। জরুরি ভিত্তিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

স্যালাইনকাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। যার মধ্যে ৭ জন জুনিয়র চিকিৎসকও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী সহ স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্যভবনে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছেন তাঁদের সাসপেনশন যেন তুলে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি প্রসূতিদের অ্যানাস্থেশিয়া করেছিলেন। অ্যানাস্থেশিয়ার কারণে কোনও কারণে রোগীমৃত্যু হয়নি। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে দাবি সাসপেন্ডেড চিকিৎসকের। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি।                      

গত সপ্তাহে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন সাসপেন্ড জুনিয়র চিকিৎসকরা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সেই চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ভবনে। কিন্তু কোনও পক্ষ থেকে কোনও বার্তা না আসায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাসপেন্ডেড সাত চিকিৎসক পৃথক ইমেল পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রতিক্ষেত্রে এই শাস্তি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। 

অন্যদিকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইনকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এবার মুখ্যসচিবকে ই-মেল করল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। বেলা ১২ টা ২৮ মিনিটে মেল করে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের যে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী পুলিশি পদক্ষেপ হচ্ছে, তা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে ই মেল করা হয়েছে। ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্টে প্রমাণিত যে ওই চিকিৎসকদের কোনও ত্রুটি ছিল না। তার পরও এই পদক্ষেপ অতিসক্রিয়তা।’ 

স্য়ালাইন থেকে সংক্রমণের কারণেই, প্রসবের পরদিনই মৃত্য়ু হয় মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজে ভর্তি থাকা প্রসূতির। পরিবার সূত্রে খবর, ৮ জানুয়ারি রাতে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজে, সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন চন্দ্রকোণার বাসিন্দা, মামণি রুইদাস। পরিবারের অভিযোগ, স্য়ালাইন দেওয়ার পরই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ৯ জানুয়ারি রাতে মৃত্য়ু হয়। ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্য়াস’ নামে ওই কোম্পানির স্য়ালাইন ব্য়বহারের ফলেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। প্রসূতিদের রক্তক্ষরণ বন্ধে ব্য়বহার করা হয় ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন’। সেই ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনে’র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির।

আরও পড়ুন: Sand Trafficking: জাতীয় সড়কে বালি বোঝাই ট্রাক-লরির দৌরাত্ম্য, বীরভূমে রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার

আরও দেখুন



Source link