নয়াদিল্লি : ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের আবহে বড় বিবৃতি দিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সারজেই লাভরভ। ভারত ও চিনকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছে পশ্চিমী বিশ্ব, এমনই মন্তব্য করলেন তিনি। রাশিয়ায় সরকার পোষিত নিউজ এজেন্সি TASS-এর খবর অনুযায়ী, “Culture without Borders: the Role and Development of Cultural Diplomacy” শীর্ষক বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন।
তাঁর কথায়, “এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর দিন, পশ্চিমীরা তাদের নীতিকে স্পষ্ট চিন-বিরোধী মনোভাব দেওয়ার জন্য ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নামে অভিহিত করা শুরু করেছে – আশা করছে যে এর ফলে আমাদের প্রিয় দুই বন্ধু এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও চিনের মধ্যে আরও সংঘর্ষ হবে।” তিনি অভিযোগ তোলেন, পশ্চিমী দুনিয়া এশিয়ায় ASEAN-এর ভূমিকাকে দুর্বল করতে চায়। তাঁর কথায়, “বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো, পশ্চিমী সহকর্মীরা এখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চান। তাঁরা ASEAN-এর মূল ভূমিকাকে দুর্বল করতে চান।” দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের সম্মিলিত গোষ্ঠী The Association of Southeast Asian Nations (ASEAN)। এই দেশগুলির মধ্যে আর্থিক ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য এই গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। এতে সদস্যভুক্ত ১০ দেশ হল- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ব্রুনেই, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনাম।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়াং মন্তব্য করেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। ভারত-পাকিস্তান পরস্পরের প্রতিবেশী ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এই দুই দেশ চিনেরও প্রতিবেশী। চিন সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসের বিরোধী। শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উভয়পক্ষকে বৃহত্তর স্বার্থ এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন মেনে সংযম দেখানো, পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে এমন পদক্ষেপে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। উত্তেজনা প্রশমনে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে বাকি বিশ্বের সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে কাজ করতে তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
এদিকে পহেলগাঁওকাণ্ডে উত্তেজনার আবহেই ভারতের হাতে আসে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। স্বল্পপাল্লার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ইগলা-এস। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এই ইগলা-এস। কোনও সেনা জওয়ান কাঁধে নিয়েই চালাতে পারবেন এই ক্ষেপণাস্ত্র। কোনও স্থায়ী লঞ্চ প্যাড বা লঞ্চ ভেহিকলের প্রয়োজন হবে না। এর আগেও ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া থেকে ভারতে এসেছিল।
আরও দেখুন