Fossils: শো শুরুর আগেই আচমকা ফসিলসের প্রাক্তন চন্দ্রমৌলির আত্মহত্যার খবর! রূপম বললেন, ‘আমি কখনও বিশ্বাস করিনি…’
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলা ব্যান্ডের দুনিয়ায় বিরাট দুঃসংবাদ। প্রয়াত ফসিলস (Fossils) ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য বেসিস্ট চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস (Chandramouli Biswas)। মধ্য কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ঝুলন্ত দেহ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। ফসিলস ছাড়াও ‘গোলক’, ‘জম্ব্ কেজ কন্ট্রোল’ নামের ব্যান্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে সঙ্গীত মহলে শোকের ছায়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন ফসিলসের অসংখ্য ফ্যান। কাছের বন্ধুর মৃত্যুর শোক সামলেই এদিন মঞ্চে উঠলেন রূপম ইসলাম (Rupam Islam)।
আরও পড়ুন- Accident in South Kolkata School: দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুলে পড়ুয়াদের উপর ভেঙে পড়ল কাচ! গুরুতর আহত ২, বিক্ষোভে অভিভাবকরা…
রবিবার বিকেলেই আসে এই দু-সংবাদ। এদিকে এদিনই কল্যাণীতে বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবে পারফর্ম করে ফসিলস। এতদিনের সঙ্গীর এভাবে চলে যাওয়ার খবর শুনেও, কার্যত শোক চেপেই শ্রোতাদের জন্য পারফর্ম করেন রূপম সহ গোটা ফসিলস। সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপসা জানান যে বিগত ২৭ বছরে এই কনসার্ট ফসিলসের জন্য সবচেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়াল। এদিন মঞ্চে এসে রূপম দাঁড়াতেই পিছনের পর্দায় ফুটে উঠল চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের ছবি। রূপম বলেন, ‘এই নিয়ে ২১বার বঙ্গ-সংস্কৃতি উৎসবে তার মধ্যে ১৬বার আমাদের সঙ্গে যিনি ছিলেন তাঁর ছবি পিছনে ফুটে উঠেছে। আমরা আসবার সময় গাড়িতে একটা খবর পেয়েছি। সেই খবরটা বজ্রাঘাতের মতোই আমাদের মাথায় এসে পড়েছে। এই পরিস্থিতি কেউই গান গাইতে পারে না, কারোর হাতে বাদ্যযন্ত্র বেজে ওঠে না। কিন্তু বাংলা রক জনতা আমাদের সামনে উপস্থিত। যাঁদের খোঁজ আমরা একসঙ্গেই করেছিলাম, চন্দ্র তখন আমাদের সঙ্গেই ছিল, একটা বিরাট সময়। আমি কখনও বিশ্বাস করিনি, চন্দ্রকে ছাড়া এই ব্যান্ড কোনওদিন পারফর্ম করবে। ওর সঙ্গেই আমার বেশি বন্ধুত্ব ছিল। গত বছর পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। নানান দার্শনিক বিষয়ে কথা হত। কিছু কিছু গান নিয়ে আমাদের বসার কথা ছিল। তবে ওর জীবন আলাদা করে চলছিল। আমার মনে হয়না সেই সব গান আমি কোনওদিনই প্রকাশ করতে পারব…।’
রূপম আরও বলেন,‘আমি হয়ত গানের মাঝে যেসব কথা বলি, আজকে স্বাভাবিকভাবেই সেসব কথা বলতে পারব না। বলার মানসিকতাও নেই। যেভাবে শো করি, সেভাবে সম্ভব নয়। গানটা আজ করে দেব এই মাত্র। আপনারা বুঝতে পারছেন কী বলছি। এই আঘাত অনেক বড়। কাজেই আপনাদের সহযোগিতা চাই। তাহলে হয়ত উতরে যাব। সকলকে গুরুত্ব বুঝে আমাদের সঙ্গে থাকার অনুরোধ করব।’
আরও পড়ুন- Weather Today: ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা! পৌষ সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত?
কিন্তু কেন এই চরম সিদ্ধান্ত? জানা যায়, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চন্দ্রমৌলি। আর্থিক অনটন থেকে শুরু করে কাজের অভাব, সবই প্রভাব ফেলেছিল তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যে। রবিবার চন্দ্রমৌলির বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিস। জানা যায় বাবা-মা একটি আমন্ত্রণ রক্ষায় বাইরে গিয়েছিলেন, বা়ড়িতে একাই ছিলেন চন্দ্রমৌলি, তখনই এই চরম সিদ্ধান্ত। চন্দ্রমৌলির ঝুলন্ত দেহ প্রথম দেখতে পান তাঁর বর্তমান ব্যান্ড সঙ্গী মহুল চক্রবর্তী। পুলিসের তরফে জানা যায়, চন্দ্রমৌলির ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। সেখানে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা আগেই নেটপাড়ায় নিজের প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেছিলেন চন্দ্র, তাহলে কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে কেন এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন ফ্যানেদের।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)