নয়াদিল্লি: ক্রিস গেল, এবি ডিভিলিয়ার্স, শেন ওয়াটসন, মিচেল স্টার্ক, কেভিন পিটারসেন এবং অবশ্যই বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে (Royal Challengers Bengaluru) গুচ্ছ গুচ্ছ মহাতারকারা খেলেছেন। তাও আইপিএলের ১৭ মরশুমে একবারও ট্রফি জিততে পারেনি ‘গার্ডেন সিটি’-র ফ্র্যাঞ্চাইজি। কেন এই ব্যর্থতা? এক আরসিবি প্রাক্তনীর মতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি দল তৈরির বদলে দুই-তিনজন ক্রিকেটারের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতাই দলের ব্যর্থতার কারণ।
২০১৪ সালে আরসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ ছিলেন শাদাব জাকাতি (Shadab Jakati)। সেই শাদাবেরই মতে আইপিএলে (IPL) ভাল ফল করতে চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennaiu Super Kings) মতো দলগঠনে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এট তো দলগত খেলা। তাই সকলকে একত্রিত হয়ে খেলার প্রয়োজন। তাহলেই তো খেতাব আসবে। দলের ভারসাম্যটা রাখা দরকার। চেন্নাইয়ের যেমন ভাল ভাল ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পাশাপাশি কিছু ভাল বিদেশি ক্রিকেটার ছিল। এর পরিবর্ত আমি যখন আরসিবিতে ছিলাম তখন দেখতাম দল দুই, তিনজনের ওপর মাত্রাতিরিক্ত দায় চাপিয়ে দিচ্ছে।’
শাদাবের আরও দাবি যে দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধুত্বেরও অভাব ছিল। ‘টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সাজঘরের পরিবেশও অনেকটাই ভিন্ন ছিল। দারুণ দারুণ ক্রিকেটার ছিল বটে, তবে তাদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব, বোঝাপড়ার অভাব ছিল। দলের সকলে একত্রিত হয়ে উঠতে পারেনি।’ মতামত প্রাক্তনীর।
আরসিবির পাশাপাশি শাদাব সিএসকের হয়েও খেলেছেন এবং খেতাবও জিতেছেন। এই দুই দলেরই তুলনা টেনে তাঁর আরও দাবি সিএসকের সাফল্যে তাঁদের টিম ম্যানেজমেন্টেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেন্নাইয়ের ম্যানেজমেন্ট অনবদ্য ছিল। খেলোয়াড়দের ছোটখাট বিষয়ের দিকেও ওরা নজর রাখত। এই ছোট ছোট জিনিসগুলিই তো বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। সিএসকে এবং আরসিবির মধ্যে আমার মতে পার্থক্য এটাই।’
আরও দেখুন