চণ্ডীগড়: নয় বছরের দীর্ঘ সময় পরে আবারও আইপিএল ফাইনালে উঠেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে (PBKS vs RCB) কোয়ালিফায়ার ১-এ (IPL 2025 Qualifier 1) আগাগোড়া দাপট দেখিয়ে ১০ ওভার বাকি থাকতেই আট উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি। ম্যাচের পর আরসিবি সমর্থকদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দেন রজত পাতিদার (Rajat Patidar)।
আরসিবি অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘শুধু চিন্নাস্বামী নয়, আমরা যেখানেই খেলি না কেন, সব জায়গাই আমাদের হোমগ্রাউন্ড বলে মনে হয়। আমরা আপনাদের অনেক ভালবাসি। এভাবেই আমাদের সমর্থন করতে থাকুন। আর একটা ম্যাচ বাকি, তারপরেই সকলে মিলে একসঙ্গে সেলিব্রেট করব।’ ম্যাচের বিষয়ে তাঁর মত, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনার দিক থেকে একেবারে ঠিকঠাক ছিলাম। আমরা কী ভাবে বল করব, না করব, তা জানতাম এবং আমার মতে ফাস্ট বোলাররা উইকেটটাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে।’
ম্যাচে আরসিবির হয়ে বল হাতে সুয়াশ শর্মা ও জশ হ্যাজেলউড তিনটি করে উইকেট নেন। ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় পঞ্জাব কিংসের ইনিংস। এরপর ব্যাট হাতে দলের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে অগ্রণী ভূমিকা নেন ফিল সল্ট। ২৭ বলে দুরন্ত ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২৩ বলে আইপিএল কেরিয়ারে নিজের দ্রুততম অর্ধশতরানটিও হাঁকান ইংরেজ কিপার-ব্যাটার। ম্যাচ শেষে এই দুই আরসিবি তারকাকেই ভূয়সী প্রশংসায় ভরান অধিনায়ক।
তরুণ লেগ স্পিনার সুয়াশের বিষয়ে পাতিদার বলেন, ‘সুয়াশ যেভাবে যে লাইন, লেংথে বল করে, তা অনবদ্য। অধিনায়ক হিসাবে ওর বোলিংয়ের বিষয়ে আমি খুব স্পষ্ট। ওর শক্তি হল তেকাঠির মধ্যে বল রাখা এবং সেটাই ওকে করতে হবে। আমি সবসময় চাই ওর ধারণা যাতে স্পষ্ট থাকে, যাতে ওর কিছু বুঝতে অসুবিধা না হয়। ও যদি রানও দেয়, তাহলেও আমার কোনও সমস্যা নেই।’
আর সল্টের প্রশংসায় তো পঞ্চমুখ তিনি। ‘ও সিংহভাগ ম্যাচেই যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তা প্রশংসনীয়। আমি ওর বড় ভক্ত। ও দলের হয়ে ইনিংসের শুরুটা দারুণভাবে করছে। ডাগআউটে বসে ওর খেলা দেখাটা আমি সত্যি বলতে খুবই উপভোগ করি।’ বলেন পাতিদার।
নয় বছর পর আইপিএলের প্লে-অফের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে (বলের নিরিখে) জয় পেয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে আরসিবি। বিগত তিনবার ফাইনালে উঠে খেতাব হাতছাড়া হয়েছে। ৩ জুন দীর্ঘ খরা কাটিয়ে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অবশেষে পাতিদারের হাতে আইপিএল খেতাব উঠে কি না, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
আরও দেখুন