R G Kar Incident: মেয়ে ডায়েরিতে লিখে গিয়েছে সবকথা, দাবি আরজিকর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবার

Estimated read time 1 min read
Listen to this article


বরুণ সেনগুপ্ত: মেয়েকে অন্য কোনও খুন করে সেমিনার হলে এনে রাখা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করেছেন আরজিকর কাণ্ডে মৃত চিকিত্সকের বাবার। চিকিত্সক খুন এবার বেরিয়ে এল ডাইরি রহস্য। হাসপাতালে চলত বিশাল চক্র। এমনটাই দাবি করা হয়েছে নির্যাতিতার বাবার তরফে। এবার মৃত চিকিত্সকের ডাইডি সিজ করল পুলিস। এমনটাই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।

আরও পড়ুন-‘তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে ট্রোল হচ্ছি, এতে আমার কিছু যায় আসে না’

নির্যাতিতার বাবার দাবি হাসপাতালে  একটি বিশাল চক্র কাজ করতে। সেইসব কথা মেয়ে লিখে গিয়েছে। ধৃত সঞ্জয় রায় একমাত্র দোষী নয় পেছনে আরও অনেকে আছে। এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার। ওই ডাইরি পুলিস সিজ করেছে।

ডাইরিতে ঠিক কী লেখা হয়েছে তা বলেননি নির্যাতিতার বাবা। তবে তিনি বলেছেন মেয়ে রোজ ডাউরি লিখতো। হাসপাতালে  প্রবল চাপ ছিল। মেয়ের ডিপার্টমেন্টের লোক তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিল।

অন্যদিকে, মেয়েকে মেরে সেমিনার হলে এনে রাখা হয়েছিল বলে নির্যাতিতার বাবা দাবি করেছেন। খুন হওয়ার রাতেও ৩৬ ঘণ্টা টানা রোগীদের পরিষেবা দিয়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। নিহত ছাত্রীর বাবা-মা তাদের মেয়ের ওপর অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ তুলেছেন। এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা। মৃতার বাবার সন্দেহ যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেইখানে হয়তো মেয়েকে মারাই হয়নি, অন্য কোনও ঘরে মেরে তারপর ওই ঘরে আনা হয়েছে।

মৃতার পরিবারের সন্দেহ, পুরো ডিপার্টমেন্ট এর জন্য দায়ী। অনেক বড় চক্র এর সঙ্গে জড়িত। নির্যাতিতার বাবা আরও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, ‘মেয়ে সিনিয়র ডাক্তারদের থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেত না, যা তার পেশাগত জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করেছিল।’ তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচজনের ডিউটিতে চারজন পুরুষের সঙ্গে তার মেয়েকে একা রাখা হত, যা তার জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আগেই নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যেতে মেয়ের ভালো লাগত না এবং কাজ ঠিকমতো করতে পারছিল না। তিনি আরও জানান, মেয়ে প্রায়ই বলত, ‘আমার আরজি করে যেতে ভাল লাগে না।’ এবিপি আনন্দে নির্যাতিতার মা জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন প্রথমে তাঁদের কাছে ফোন আসে মেয়ে অসুস্থ বলে। বারবার তিনি জানতে চান, কী হয়েছে আমার মেয়ের, কী হয়েছে আমার মেয়ের। উল্টোদিকের কণ্ঠ বলে ওঠে, আমি কী করে জানব, আমি কি ডাক্তার নাকি!

তড়িঘড়ি উৎকণ্ঠা নিয়ে গাড়ি নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। তারই মাঝে আবার ফোন। এবার অ্যাসিসট্যান্ট সুপারের ফোন। ‘আপনাদের মেয়ে সুইসাইড করেছে’। ঘড়িতে তখন ১০ টা ৫৩। হাসপাতালে পৌঁছে আকুল হয়ে বসেছিলেন, মেয়েটার মুখ দেখার জন্য। কিন্তু সেখানে বসেই কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বলা হয়, বসুন তদন্ত চলছে। মেয়ে আর নেই, জেনেও বুকে পাথর রেখে অপেক্ষাই করে যেতে হয় তাঁদের। সেই সময় হাসপাতালের কোনও ঊর্ধ্বতনই তাঁদের সঙ্গে এসে কথা বলেননি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours