‘অতৃপ্তি কাজ করছে..’ ! RG কর মামলার রায়ে প্রতিক্রিয়া অধীরের, নিশানা মুখ্যমন্ত্রীকেও
কলকাতা: আর জি কর-মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড। রায়ের পর প্রতিক্রিয়া কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর। রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে তোপ মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, এযেনও কোথাও একটা অতৃপ্তি কাজ করছে। অর্ধ সত্য, অর্ধপক্ক। মানে Half Baked, Half Fried Judgement হল। এটা কিন্তু বিচারকের বিরুদ্ধে কথা বলছি না কিন্তু। সব মিলিয়ে, মানে আমরা খুশি হতে পারছি না। লড়াইটা CBI Vs CID নয়। অপরাধ বনাম এক অপরাধী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল পার্টি চালাকি করে কী করছে ? CBI Vs CID এর লড়াইয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার যদি এই রায় না পোষায়, আপনি তাহলে পাল্টা ব্যবস্থার জন্য নেমে পড়ুন। আপনি বলুন, আমি পারি , আমাকে সুযোগ দেওয়া হোক।’
যদিও আর জি কর-কাণ্ডে শিয়ালদা কোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘আমার হাতে থাকলে আগেই ফাঁসির অর্ডার করাতে পারতাম।’ আর এবার সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য (State Government) , জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন অভিষেক বলেন, ‘সমাজে ধর্ষকদের কোনও জায়গা নেই, ফাঁসিই একমাত্র পথ যদি পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে যায়। করদাতাদের টাকা নষ্ট করে কাউকে জেলবন্দি করে রাখার কোনও অর্থ নেই। সঞ্জয়ের মতো ধর্ষকের পিছনে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা খরচ করা অর্থহীন’, ঘনিষ্ঠ মহলে প্রতিক্রিয়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
‘সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ প্রশংসনীয়ভাবে এই ধরণের একের পর এক মামলায় ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। দোষীদের প্রত্যেকের ফাঁসির সাজা হয়েছে, কিন্তু আর জি কর মেডিক্যালের ক্ষেত্রে তা হল না’, ঘনিষ্ঠ মহলে প্রতিক্রিয়া ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদের।
আরও পড়ুন, সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসককে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে অনেক। সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে কি এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব? অপরাধে সঞ্জয় একা ছিলেন, নাকি তাঁর সঙ্গে আরও কেউ বা কারা ছিলেন? ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার আদালতে দোষীসাব্যস্ত হওয়ার দিনও দিনভর চর্চায় ছিল এই প্রশ্ন। রায় ঘোষণার পর সেই প্রশ্নই ফের তুললেন নির্যাতিতার মা-বাবাও। রায়ের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চিকিৎসকের মা-বাবা।’ আমরা কোনও আর্থিক সাহায্য চাইনি। ক্ষতিপূরণ নয়, বিচার চাই’, বিচারককে বললেন নিহত চিকিৎসকের পরিবার।
আরও দেখুন