কলকাতা: ২ ঘণ্টা পার। মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ফের স্নায়ুর লড়াই। নবান্নের পর এবার কালীঘাটের বৈঠক নিয়েও নতুন করে তৈরি হয়েছে জটিলতা। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বদলে, নিজেদের ক্যামেরায় রেকর্ডিংয়ের দাবি ডাক্তারদের। তা মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে (RG Kar Protest) অপেক্ষারত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের জন্য আমি জায়গা করে রেখেছি। তোমাদের চিঠিতে কোথাও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা লেখা নেই। আমাদের চিঠিতেও নেই। তোমাদের আমরা শেয়ার করব মিনিটস। যেহেতু কেসটা কোর্টে বিচারাধীন। আমরা কোর্টে কেসটা একটু শেষ হয়ে গেলে তোমাদের দিয়ে দেব। তোমরাও ওয়াচ করতে পারো। যে আমরা টোটালটাই রেকর্ড করব। নিশ্চিন্তে থাকো। এটুকু আমার ওপর ভরসা রাখো। তোমাদের মিসলিড করব না।’
বাইরে তখন প্রবল বৃষ্টি। তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা কেন ভিজছো? তোমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আমিও ভিজছি। আমার চিফ সেক্রেটারি, আমার ডিজি পুলিশ আমরা সকলে ওয়েট করছি। তোমাদের ছাতা দিয়েছি এই কারণে যাতে তোমরা না ভেজো। এবং তোমাদের বসার জন্য আলাদা অ্যারেঞ্জমেন্ট করা রয়েছে। মিটিং না করো অন্তত এক কাপ চা খেয়ে যাও। এসো না। আসছো না কেন? ভেতরে ঢুকছো না কেন?’
বৈঠক নিয়ে প্রথম থেকেই চলছে স্নায়ুর যুদ্ধ। পাঁচ দফা দাবি থেকে সরে আসা হবে না, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সবচেয়ে বড় যে দাবি, স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য পুরো বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্তত ৩০ জনের প্রতিনিধি দলকে বৈঠকে থাকার অনুমতির দাবিও তোলা হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। যদিও রাজ্যও তাদের দাবিতে অনড়। মমতা বলেন, ‘তোমাদের আসার কথা ছিল ১৫ জন। তোমরা এসেছো ৪০ জন। একটা লোকের বাড়িতে ৪০ জন বসার জায়গা থাকতে পারে?’
আরও পড়ুন: পুরুষ-নারী বিভেদ দূর হোক, মহিলাদের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ মহম্মদ শামির
আরও দেখুন