কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে নিভল আলো। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্য জুড়ে বেনজির প্রতিবাদ আন্দোলন দেখা গেল। আলো নিভল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালেও। মুখ ঢাকল কলকাতা।
আর বুধবার আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে সামিল হয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। পুলিশের বিরুদ্ধে মৃতদেহ সৎকারে চাপ দেওয়া, মুখ বন্ধে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ তুলল নৃশংসভাবে খুন হওয়া মহিলা চিকিৎসকের পরিবার!
১৪ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মহিলাদের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার ঠিক ২১ দিনের মাথায় দিন বদলের স্বপ্নে ফের রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের আহ্বানে ১ ঘণ্টার জন্য রাজ্য জুড়ে নামল আঁধার। রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সমস্ত আলো নিভিয়ে মোমবাতির আলোয় চলল প্রতিবাদ। বিচারের দাবিতে হাতে মোমবাতি, মশাল নিয়ে প্রতিবাদে এক সুরে সুর বাঁধল কলকাতা থেকে কোচবিহার, সর্বত্র।
আর জি কর হাসপাতালে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। ‘মেডিক্যাল টেস্টের আগেই কীভাবে আত্মহত্যার তত্ত্ব?’ প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার বাবা, মা, কাকিমারা। তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে মৃতদেহ নিয়ে চলে যায় পুলিশ। দেহ দেখতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। বারবার প্রিন্সিপালের ঘরে যেতে বলে পুলিশ।’
নির্যাতিতার বাবা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন, ‘একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ডিসি নর্থ আমাকে টাকা অফার করেছিলেন। তাঁর যা উত্তর দেওয়ার আমি দিয়ে দিয়েছিলাম।’
পুলিশের বিরুদ্ধে মেয়ের দেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ করেছে পরিবার। ‘কেন মেয়ের দেহ সৎকারে এত তাড়াহুড়ো করেছিল পুলিশ? হাসপাতালে ডেকে সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ। আমরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম,’ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পরিবারের। ‘পুলিশ-প্রশাসনের এত অতিসক্রিয়তা, এত মিথ্যাচার কেন?’ পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে শিউরে ওঠার মতো অভিযোগ পরিবারের।
আরও পড়ুন: RG কর-এ নির্যাতিতার পরিবারের হাতে নিজের আন্তর্জাতিক পদক তুলে উদাহরণ তৈরি করলেন সুস্মিতা
আরও দেখুন