আবীর দত্ত, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ, খুনে কি সঞ্জয় রায় একাই জড়িত? নির্যাতিতা কি কারও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন ? কী কী ঘটনা ঘটেছিল সেদিন, যা শিরদাঁড়ায় শীতল স্রোত বইয়ে দেয় ? একের পর এক বিষয়ে এবিপি আনন্দর কাছে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সারিফ হাসান। কে এই সারিফ ? তিনি আর জি কর মেডিক্য়ালের ইন্টার্ন চিকিৎসক । তাঁর আরেকটি পরিচয় তিনি হাসপাতালের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সহ সভাপতি। তাঁকে এর আগেও জিজ্ঞআসাবাদ করেছিল সিবিআই। আবারও ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
গত ৯ অগাস্ট, যে দিন নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয় হাসপাতালে, সেদিন মৃতদেহ উদ্ধারের অন্যতম প্রত্য়ক্ষদর্শী ছিলেন এই সারিফ হাসান। আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যে ইউনিট রয়েছে, সারিফ তার সহ সভাপতি। মৃতদেহ উদ্ধারের পর সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। তাঁকে কী বলেছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ, তা নিয়েও চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছন তিনি।
সারিফ জানান, সকাল ১০ টা নাগাদ ফোন করেন সন্দীপ। জিগ্যেস করেন, তিনি কোথায় আছেন। ঘটনাস্থলে আছেন কি না। সন্দীপ বলেন, সারিফরা যেন নীচ থেকে আরও চাপ দিয়ে পুলিশকে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে বলেন, যেন পুলিশ তাড়া দেওয়া হয়। সারিফের কথায়, ‘ওদেরকে তাড়াতাড়ি যেন করতে বলি, এটাই আমাকে, এই কথাটাই আমাকে লাস্ট বলেছেন।’
সারিফ হাসান বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা জানালাম যে, ওখানে সাড়ে ৯টার সময় যদি অফিসিয়ালি দেহটা পাওয়া যায়, তাহলে সাড়ে ৬টা বা ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত- ওই সময়টা- এটা তো কোনও ফাঁকা কলেজের বিল্ডিং না, বা কোনও একটা স্কুলের মতো ফাঁকা জায়গা না, এটা একটা হাসপাতাল। সব সময় ওখানে রোগীর বাড়ির লোকজন থেকে শুরু করে আরও অনেক লোকজন থাকে। তাহলে ৪ ঘণ্টার এই সময়টা, যে মানে অতিক্রান্ত হল,সেই সময়টায় কী, মানে কেউই জানতে পারল না, এটা কোনওভাবে কোনও দিন সম্ভব কীভাবে হয়?’
এরকম একাধিক বিস্ফোরক কথা বলেন সারিফ । আর তারপরেই বুধবার আবার সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠাল।
আরও পড়ুন :
সূর্যাস্তের পর পোস্টমর্টেম করতে চাননি টিমের সদস্য, তড়িঘড়ি করেন টালা থানার OCই! বিস্ফোরক চিঠি সামনে
আরও দেখুন