কলকাতা : আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার আক্রমণ তৃণমূলের । এবার জুনিয়র ডাক্তারদের বিঁধলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা । ‘বিচারের নাম করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করা, এটাই মূলত এদের কাজ।’ এমনই অভিযোগ তুললেন তিনি।
সওকত মোল্লা বলেন, “যেভাবে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য কয়েকজন বামপন্থী ডাক্তার যে প্রোপাগান্ডা তৈরি করছেন, এটা বাংলার কলঙ্ক ছাড়া অন্য কিছু নয়। এদের যাঁরা নেতা তাঁদের নেতৃত্বে একদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মানুষ খুন হয়েছেন। এই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাণতলায় মা-বোনেদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছিল। কই সেদিন তো আমরা দেখিনি এই ডাক্তারবাবুদের একটা অংশ উই ওয়ান্ট জাস্টিসের নাম করে অনশন করা, তার প্রতিবাদ করা। আসলে এদের মূল লক্ষ্য, এটাকে কনিটিনিউ করতে হবে। কারণ, সামনে ৬টি উপনির্বাচন আছে। লোকসভার একটি উপনির্বাচন আছে। যে বোনটি ধর্ষিতা হয়েছেন, খুন হয়েছেন…তার বিচার চাওয়া নয়। তাঁর বিচারের নাম করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করা। এটাই মূলত এদের কাজ।”
দিনকয়েক আগে মাথায় টাক পড়া, ১০০ জনকে বুদ্ধিজীবী হিসেবে সংবর্ধনা দেন সওকত মোল্লা (Saokat Molla)। উপহার স্বরূপ হাতে তুলে দেন নতুন পাঞ্জাবি, গোলাপ ফুল।
মাথায় চুল কম থাকলে অনেককে কতই না গঞ্জনা শুনতে হয়। বন্ধু-বান্ধব ঠাট্টা করে। পাড়া হোক বা সহকর্মীরা মজা করে প্রতিনিয়ত। কেউ কেউ বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে ক্রিম লাগান। তো কেউ আবার নতুন চুল গজানোর আশ্বাসে ভরসা করে হাজার হাজার টাকা খরচ করেন। কিন্তু টাক থাকলেই যে বুদ্ধি বেশি হয়, বুদ্ধিজীবী হয়, এমন ধারণা ভূ-ভারতে কারও ছিল কি না সন্দেহ আছে। কিন্তু শেষ অবধি এমনই সিদ্ধান্তে পৌঁছান দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের দাপুটে নেতা ও বিধায়ক সওকত মোল্লা! দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে মাথায় টাক থাকার জন্য ১০০ জনকে সংবর্ধিত করা হয় ! দাপুটে তৃণমূল বিধায়ক নিজে টাকের মালিকদের হাতে গোলাপ তুলে দিলেন, সঙ্গে পাঞ্জাবি। সেইসঙ্গে ঘটা করে জানান, টাক থাকার কী অপরিসীম গুরুত্ব। ক্য়ানিং পূর্বের বিদায়ক বলেন, “আজকে বিশেষ করে আমরা একটা প্রোগ্রাম করেছিলাম যে, যাদের মাথায় চুল কম, মানে মাথায় যাদের, মানে যেটাকে বাল্ড হেড বলি আমরা, যেটা টাক মাথা, এরকম মানুষ আছেন আমাদের দুটো অঞ্চলে প্রচুর মানুষ আছেন। যাদের মাথায় চুল কম, বুদ্ধিও তাঁদের বেশি হয়। সেই কারণে সেই সমস্ত মানুষজনকে আজকে আমার ডেকেছিলাম এবং আজকে বিজয়ার পরে তাঁদেরকে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করেছি। আমাদের যাঁরা বুদ্ধিজীবী মানুষ, জ্ঞানীগুণী মানুষ আছেন, বা বয়জ্যোষ্ঠ মানুষ আছেন, তাঁদেরকে সংবর্ধিত করা এটাই হচ্ছে আমাদের মূল কাজ।”
বুধবার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়কের কার্যালয় থেকেই এই উপহার বিতরণ করেন সওকত মোল্লা। এদিন তিনি বলেন, “প্রতিবছর কলকাতার রেড রোডে কার্নিভাল হয়। আমরা সবাই কার্নিভাল দেখি। এখন আবার শুনছি যেদিন কার্নিভাল হবে সেদিন আবার দ্রোহের কার্নিভাল হচ্ছে। মানে নতুন নতুন কিছু আবিস্কার হয়েই যাচ্ছে হয়েই যাচ্ছে। সেইকারণে আমরাও এটা একটা আজকে আমরা নতুনত্ব করলাম।”
আরও দেখুন