কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে (RG Kar News) গ্রেফতার টালা থানার ওসি (Tala PS OC)। এবার সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে পোস্ট করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
গ্রেফতার টালা থানার ওসি, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
এবার আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। সেই সঙ্গে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করল সিবিআই। তথ্য প্রমাণ লোপাট, দেরিতে এফআইআর-এর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তদন্ত শুরুর ৩১ দিনের মাথায় মূল মামলায় সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতার। এই আবহে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘কয়েকটি হাসপাতাল ভর্তি না নেওয়ায়, এই টালা থানার ওসির জন্য সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। খুনিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বদলে তাদের বাঁচাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী’। এই আবহে ফেসবুকে পোস্ট করেন শান্তনু সেনও। লেখেন, ‘আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত এই লোকটির বিরুদ্ধে প্রথম সোচ্চার হয়েছিলাম আমি। সঠিক ছিলাম, তা ঈশ্বর আজ আরও একবার প্রমাণ করলেন।’
‘গ্রেফতারির তালিকা দীর্ঘ হবে’, মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘টালা থানার ওসি এবং সন্দীপ ঘোষ, এই দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। আমরা আশা করব সিবিআই এঁদেরকে সঠিক জায়গায় পৌঁছবে। কিন্তু একটা থানার ওসি বা একটা কলেজের অধ্যক্ষ নিজেদের বুদ্ধিতে এই কাজ করতে পারেন না। বিশেষ করে এই ওসি যে চিঠি লিখেছিলেন, যখন ডাক্তার বলেছিলেন ওই সময়ে পোস্টমর্টেম করা যায় না, তখন তিনি যেচে অর্ডার দিয়েছিলেন। থানার ওসির পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। ওপর থেকে নিশ্চয়ই কারও নির্দেশ ছিল, সেটা কার নির্দেশ সেটা দেখতে হবে। আমার বিশ্বাস, গ্রেফতার সবে শুরু হয়েছে। অপেক্ষা করুন, লম্বা হবে এই লাইন।’
আরও পড়ুন: RG Kar Protest: ‘এই সন্দীপ ঘোষ, এই টালা থানার ওসি …এঁদের সুতো কোথায় বাঁধা ?’ প্রশ্ন তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তার
আজও কাটল না জটিলতা। নবান্নের পুনরাবৃত্তি কালীঘাটে, ভেস্তে গেল মুখ্যমন্ত্রী-আন্দোলনকারী বৈঠক। দীর্ঘ টানাপোড়ন শেষে নিজেদের দাবিদাওয়া থেকে সরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যান তাঁরা। তার আগে অবশ্য মুখ্য়মন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ তাঁদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁর অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভিডিওগ্রাফি ছাড়াই শর্তে রাজি হয়ে বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি। কিন্তু, তখন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আর বৈঠকে বসতে রাজি নন বলে জানিয়ে দেন, এমনই দাবি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে প্রতিনিধি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন