‘রাতে তালাবন্ধ থাকে সেমিনার হল’, বলছেন বিভাগীয় প্রধান, তাহলে খুলল কে? RG কর নিয়ে বাড়ছে রহস্য

Estimated read time 1 min read
0 0
Listen to this article
Read Time:4 Minute, 33 Second


কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও পর্যন্ত। সেই আবহেই হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের প্রধানের দাবি ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। আর জি করের চেস্ট বিভাগের প্রধানের দাবি, যে সেমিনার রুমে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে, সেখানে প্রতিদিন ক্লাস হয়। রাত ৮-৩০টা নাগাদ তালাও পড়ে যায়। ওই রাতে কি তাহলে তালা খুলে সেমিনার রুমে ঢোকা হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন। (RG Kar Medical Student Death)

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আর জি করের ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. তদন্তকারীদের সহায়তা করতে এক এক করে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন নবনিযুক্ত অধ্যক্ষা সুহৃতা পাল। আর জি করের চেস্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের যাত্রী ছিলেন নিহত চিকিৎসক তরুণী। বুধবার ওই চেষ্টা বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকেও ডেকে পাঠান অধ্যক্ষা। (RG Kar Doctor Murdered)

সেই মতো হাসপাতালে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের সামনে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন অরুণাভ। তিনি বলেন, “প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করতে হবে। সিবিআই হোক বা যা-উ হোক, সে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বুঝবেন। কিন্তু চরমতম শাস্তি চাই। ও আমার মেয়ের মতো। অপরাধী ধরা পড়ুক।” গোটা ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত বলেও জানান চেস্ট বিভাগের প্রধান।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘কন্যাশ্রী দিবসে ৩ হাজার প্যাকেট চিকেন বিরিয়ানির অর্ডার, মেনু ঠিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই’, ‘Shame’ বললেন শুভেন্দু !

যে সেমিনার রুমে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করলে, অরুণাভ জানান, সেখানে এমন কিছু ঘটতে পারে বলে ধারণাতেই ছিল না তাঁর। তিনি বলেন, “এমনিতে সেমিনার রুমটিতে তালা দেওয়া থাকে। সেদিনও ৪-৫টা পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে, তার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাত ৮.৩০টার পর এমনিতেই তালা দিয়ে দেওয়া হয় রোজ। চাবি থাকে ফ্লোরের সিস্টার ইনচার্জের কাছে। পড়াশোনার জন্যই সেমিনার রুমটি ব্যবহৃত হতো। রাতে কী হয়, কেউ তালা খোলে কি না বলতে পারব না।”

হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাত ৮.৩০টার পর ওই সেমিনার রুমে তালা দেওয়া থাকত। ফ্লোরের নার্সদের ইনচার্জ যিনি থাকতেন, চাবি থাকত তাঁর কাছে। এদিন নার্সদের ইনচার্জকেও ডেকে পাঠান অধ্যক্ষা। ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্ক ওয়াকিবহাল হতে, গোয়েন্দাদের সঠিক তথ্য প্রদান করতেই তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা গিয়েছে। 

যদিও বিভাগীয় প্রধানের মন্তব্যের সঙ্গে নার্সিং সুপারের দাবি মেলেনি। সিস্টার ইনচার্জ কৃষ্ণা সাহার দাবি, চাবি কারও দায়িত্বে থাকে না, নার্সিং স্টেশনের একটি বাক্সে রাখা থাকে। সেখান থেকে চাবি তুলে নেওয়া হয়। সেখান থেকেই চাবি নেন চিকিৎসকেরা। নার্সিংয়ের কেউ লিখিত অনুমতি ছাড়া চাবি নেন না। বিভিন্ন সময়, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে সেমিনার হলে ঢুকলেও, লিখিত অনুমতি নিতে হয় নার্সদের। তাই ওই রাতে সেমিনার রুমের তালা কে খুললেন, সেই নিয়ে বাড়ছে রহস্য। 

আরও দেখুন



Source link

About Post Author

JagoronBarta

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *