আর জি করে ওটি-র ফলস সিলিং ভেঙে বিপত্তি, ব্যাহত অস্ত্রোপচারের কাজ
![আর জি করে ওটি-র ফলস সিলিং ভেঙে বিপত্তি, ব্যাহত অস্ত্রোপচারের কাজ আর জি করে ওটি-র ফলস সিলিং ভেঙে বিপত্তি, ব্যাহত অস্ত্রোপচারের কাজ](https://i1.wp.com/feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/11/14/fe1996ecadd0c7ee9974e6fe2865dba21731578697527338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&w=991&resize=991,564&ssl=1)
কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালের নিউ সার্জারি ওটি-র ফলস সিলিং ভেঙে বিপত্তি। ফলস সিলিং ভেঙে পড়ায় অপারেশনের কাজ ব্যাহত। গত কয়েক মাস ধরে ফলস সিলিংয়ের অবস্থা খারাপ ছিল বলে অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের। এই ঘটনায় আবারও হাসপাতালের পরিকাঠানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই ঘটনায় কেউই আহত হয়েছেন বলে খবর নেই। হাসপাতালের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। (RG Kar Hospital)
বৃহস্পতিবার দুপুরে, ২টো নাগাদ সার্জারি বিল্ডিংয়ের ফার্স্ট ফ্লোরে নিউ সার্জারি ওটি-র ফলস সিলিং হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় কেউ আহত না হলেও, অস্ত্রোপচারের কাজ ব্যাহত হয়েছে। হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, নিউ সার্জারি ওটি-র ভয়ঙ্কর পরিস্থিতার কথা একাধিক বা জানানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানানো হলেও, সেই কাজ শুরু হয়নি। সেই আবহেই এই বিপত্তি। (Kolkata News)
এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি এখনও পর্যন্ত। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের টেবিল থেকে কয়েক হাত দূরেই ফলস সিলিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়েছে। ফলস সিলিংয়ের ভগ্নাবশেষ এবং টুকরো জিনিসপত্র ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে মেঝেতে।
এর পাশাপাশি, আর জি কর হাসপাতালে নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ গতকাল আর জি কর হাসপাতালের ভিতর থেকে একাধিক গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এমএসভিপি-র যে দফতর, তার ঠিক সামনে যে বাগান রয়েছে, সেখানে একটি প্রাচীন সোনাঝুরি গাছ ছিল। গতকাল সেই গাছও কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক জন ঢুকে গাছ কেটে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। কী কারণে গাছ কাটা হচ্ছে, কার নির্দেশে কাটা হচ্ছে, তার উত্তর মেলেনি। সদুত্তর দেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রায় ৮০-১০০ বছর বয়সছিল সোনাঝুরি গাছটির। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিল CISF-ও। তার পরও কেউ বাধা দেননি। এমনকি গাছের কাণ্ডের চিহ্নমাত্র অবশিষ্ট নেই বলে জানা গিয়েছে। একাধিক গাছ কাটা হলেও, কে কাটল, কার নির্দেশে কাটল, তা নিয়ে ধন্দ ছড়িয়েছে। হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, গাছ কাটার অনুমতি দেননি তাঁরা। তাহলে কার প্রয়োজনে গাছ কাটা হল, প্রশ্ন উঠছে।অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আরও দেখুন