কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন, লালবাজারে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। নির্যাতিতার বাড়িতে প্রথম যার ফোন, আগামীকাল সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকেও তলব। সূত্র মারফত খবর, কীসের ভিত্তিতে নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন? জানতে চায় পুলিশ। আরজি করের ৭জন জুনিয়র চিকিৎসককে ডেকে লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ। আগামীকাল আরজি করের চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকেও লালবাজারে তলব।
কলকাতা পুলিশের সিটের সদস্য সংখ্যা ৭ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৮ । শুধু ৪তলার নয়, পুলিশের নজরে হাসপাতালের ৩০টি ক্যামেরার ফুটেজ।চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে শুধু কি একাই সঞ্জয়, নাকি জড়িত আরও কেউ? কীভাবে সঞ্জয় জানল ওই সময় সেমিনার রুমে নির্যাতিতা ছাড়া আর কেউ নেই? ‘নির্যাতিতা চিকিৎসক ঘুমোচ্ছেন, রাত ৩টেয় দেখে আসেন এক জুনিয়র।
রাত ২.৩৫-এও একজনের মেসেজের উত্তর দিয়েছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসক’ তাহলে কী করে সঞ্জয় নিশ্চিত হল সেমিনার রুমে আর কেউ নেই? তাহলে কি এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত? কেউ খবর দিয়েছিল সঞ্জয়কে? সূত্র মারফত খবর, একের পর এক রহস্যের জট খোলার চেষ্টায় কলকাতা পুলিশের সিট।সূত্র মারফত খবর, সিভিক ভলেন্টিয়ার হয়েও পুলিশে কীভাবে এত দাপট সঞ্জয় রায়ের? উত্তরের খোঁজে ৫জন পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ। সোশাল মিডিয়ায় অভিও ভাইরাল, সাক্ষী হিসেবে ১৫জনকে তলব।
আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। সাসপেন্ড করা হয়েছে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চারতলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২ চুক্তিভিত্তিক রক্ষীকে। সন্ধেয় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার চন্দন গুহকে সরিয়ে দেওয়া দেওয়া হয়েছে। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আন্দোলনে উত্তাল আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতাল। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে মুখে স্লোগান। বন্ধ জরুরি বিভাগ। মঞ্চ বেঁধে চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন।
আরও খবর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা, ভাসতে পারে কলকাতা? আগামীকাল কেমন থাকবে আবহাওয়া ?
এই প্রেক্ষাপটে রবিবার দুপুরে, আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। সাসপেন্ড করা হয়েছে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চারতলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২ চুক্তিভিত্তিক রক্ষীকে। কিন্তু, এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, ১২ ঘণ্টার মধ্যে অধ্যক্ষ, সুপার ও চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের পাশাপাশি আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে অপসারণ করতে হবে। প্রকাশ্যে আনতে হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। পাশাপাশি, বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন