RG কর কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা যে সাতাত্তরটা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তার উত্তর কোথায়?
ABP Ananda Live: রাত পেরোলেই আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ, খুন মামলার রায়। কিন্তু, এই ঘটনা নিয়ে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা যে সাতাত্তরটা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তার উত্তর কোথায়? কলকাতা হাইকোর্টে বিয়াল্লিশটা এবং নিম্ন আদালতে পঁয়ত্রিশটা প্রশ্ন করেছিলেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। কী ছিল সেই তালিকায়? কেন তাঁদের মেয়ের শেষকৃত্য় তড়িঘড়ি করা হয়েছিল? কেন স্থানীয় বিধায়ক এবং কাউন্সিলরের নজরদারিতে তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকার হয়েছিল? বাবা দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত চাওয়া সত্ত্বেও, কেন তা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছিল? মৃতদেহ উদ্ধারের দীর্ঘক্ষণ পর কেন মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল? শনিবার রায় হলেও, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলবে কি?
‘আশ্চর্যের বিষয়, সুপ্রিম কোর্টের সামনে এত মিথ্যে বলা যায়,’ CBI প্রসঙ্গে বিস্ফোরক নিহত চিকিৎসকের বাবা
৯ অগাস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সিবিআই-এর চার্জশিটেও ধর্ষণ ও খুনে মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে একমাত্র সঞ্জয় রায়কেই। আগামীকাল এই মামলার রায় ঘোষণা। আর তার আগে ফের সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার।
এদিন এবিপি আনন্দের ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সত্য এখনও উদঘাটিত হয়নি। একজনের পক্ষে এই কাজ ঘটানো অসম্ভব। আমরা সিবিআইয়ের উপরও ভরসা রাখতে পারছি না। আমরা হাইকোর্টের বিচারপতি তত্ত্বাবধানে ইন্ডিপেন্ডেন্স ইম্পেরিয়াল অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করাতে চেয়েছিলাম। হাইকোর্ট সিবিআইকে ভাল মনে করে, সিবিআইকে দিয়েছিল। প্রথম দিকে সিবিআইয়ের উপর ভরসা রেখেছিলাম। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। কলকাতা পুলিশ প্রথম দিন যা করেছে। আমার মেয়ের মৃত্যু আমাদের কাছে শোকের বিষয়। পুলিশের কর্মকাণ্ডে আমরা দুঃখ পেয়েছি। পুলিশের মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি। সেটা পুলিশ কার নির্দেশে করেছিল সেটা পুলিশই জানে। বিচারপতি সব দিক দেখেই সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের কাছ থেকে আজ পর্যন্ত আমরা কিছুই জানতে পারিনি। এই যে রিপোর্ট ভাইরাল হয়েছে সেখান থেকে জানতে পারছি। সিবিআই যোগযোগ করে না। এটাই তো আশ্চর্যের বিষয়, সুপ্রিম কোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে এত মিথ্যে কথা বলা যায়।