NOW READING:
পুলিশের লোগো দেওয়া মোটরবাইক, নিজের নামে পুলিশের গাড়ি, সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘কীর্তি’ কার মদতে?
August 12, 2024

পুলিশের লোগো দেওয়া মোটরবাইক, নিজের নামে পুলিশের গাড়ি, সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘কীর্তি’ কার মদতে?

পুলিশের লোগো দেওয়া মোটরবাইক, নিজের নামে পুলিশের গাড়ি, সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘কীর্তি’ কার মদতে?
Listen to this article


পার্থপ্রতিম ঘোষ, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : খাতায়কলমে পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু থাকত পুলিশের ব্য়ারাকে! চড়ত কলকাতা পুলিশ-লেখা গাড়ি-মোটর বাইক! মোতায়েন ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। কিন্তু অভিযোগ, তাকে নাকি প্রায় ডিউটিতে দেখাই যেত না। RG কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে উঠেছে এমনই মারাত্মক অভিযোগ।

সূত্রের দাবি, কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সংগঠন – ওয়েলফেয়ার কমিটির ছাতার নীচে ছিল সঞ্জয়। সূত্রের দাবি, পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও, পুলিশের টহলদারি মোটরবাইক, গাড়ি নিজের নামে বরাদ্দ করিয়ে দাপিয়ে বেড়াত এলাকায়। শুধু এই নয়, পুলিশের গাড়ি থানায় জমা না দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় মাঝেমধ্যে নিজের কাছে রাখত বলে অভিযোগ।

এমনকী ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বোনও জানিয়েছে , মোটরবাইক নিয়ে যাওয়া আসা করত। বলত, আমার অফিসের। তাতে যে কলকাতা পুলিশের চিহ্ন KP লেখা থাকতে, তাও জানিয়েছে অভিযুক্তর বোন। এমনকী কলকাতা পুলিশের ব্যবহৃত সাদা অ্যাপাচে গাড়িতেও যাতায়াত করত সঞ্জয় । 

প্রতিবেশীরা জানালেন, সঞ্জয়ের চরিত্র সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন তাঁরা। তাই কথা কেউই বলতেন না। তবে কলকাতা পুলিশের লোগো লাগানো গাড়ি নিয়ে যে সঞ্চয় ঘুরে বেড়াত, সেটা তারাও দেখেছে। নিজে একজন সাধারণ সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে সঞ্জয় থাকত উল্টোডাঙায় চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের পুলিশ ব্যারাকে।

ওয়েলফেয়ার কমিটি কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সংগঠন। পুলিশ-পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে, তাঁদের সাহায্য় করা, খোঁজ নেওয়া, চিকিৎসা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি- মূলত এসব দেখভাল করে ওই ওয়েলফেয়ার কমিটি। এর সূত্রে ধরেই বিভিন্ন হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ছিল RG কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসক খুনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের।

পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা চিকিৎসককে খুনের আগে-পরে মদ্যপান করেছিল সঞ্জয়।  খুনের পরেও তার ছিল ডোন্ট কেয়ার ভাব। এমনকী, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যখন তাকে ডাকা হয়, তখনও সঞ্জয় মত্ত অবস্থায় ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

২০১৯ সালে, সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পায় সঞ্জয়। যোগ দেয়, কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীতে।  সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাঁরই পরিবারের লোকজন। সঞ্জয়ের দিদি পর্যন্ত বলছেন, ‘ওর শাস্তি হওয়া চাই। কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি হওয়া চাই’ 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।                

আরও দেখুন



Source link