কলকাতা: এবার জোড়া চাপে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আজ চার্জগঠন। মর্গে বেনিয়মের অভিযোগে সন্দীপ ও আরও ২ প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান নজরে। রাজ্যকে ব্যবস্থা নিতে বলল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতি মামলায় একদিকে চার্জগঠন আরেকদিকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ। জোড়া চাপে সন্দীপ ঘোষ। মর্গে বেনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত ঘটনায়, আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং দুই প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। সন্দীপ ঘোষ এবং দুই প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, ৩ মাসের মধ্যে সরকারকে তা জানাতে বলেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
বিনা অনুমতিতে মর্গের ৫টি দেহ ময়নাতদন্তের আগেই সেমিনারে অস্ত্রোপচারে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। সন্দীপ ঘোষের জমানায় আর জি কর মেডিক্যালের এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধানও। তাঁদের একজন হলেন আর জি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান প্রবীর চক্রবর্তী, যিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত। আরেকজন হলেন আর জি করের ENT বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ইন্দ্রনাথ কুণ্ডু, যিনি বর্তমানে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে বিভাগীয় প্রধান পদে রয়েছেন। মর্গ থেকে সেমিনারে দেহ পাঠানোর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রজু করেছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়, দেহগুলির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে এন্ডোস্কোপ ব্যবহার করে সাইনাস সার্জারি ট্রেনিং হয়েছিল। যার ফলে তথ্য-প্রমাণ নষ্ট হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ, প্রবীর চক্রবর্তী এবং ইন্দ্রনাথ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত গাইডলাইন অগ্রাহ্য করে এমন কাজ করা হয়েছে, যা মৃতদেহের মর্যাদা লঙ্ঘিত করেছে।
সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ থাকাকালীন নানাবিধ আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি আর জি কর মেডিক্যালের মর্গেও বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি আর জি কর হাসপাতালে ENT বিশেষজ্ঞদের সর্বভারতীয় সংগঠনের একটি ওয়ার্কশপ ছিল। সেই ওয়ার্কশপে, সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে পুলিশের আনা পাঁচটি ফ্রেশ বডি নিয়ম বহির্ভূতভাবে মর্গ থেকে অ্য়ানাটমি বিভাগে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। যে দেহগুলি ওয়ার্কশপে ব্য়বহার করা হয়েছিল, তাঁদের পরিবারকে সেসম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এবিপি আনন্দে ওই খবর সম্প্রচারের পর তোলপাড় শুরু হয়। আর জি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়।
আরও পড়ুন: Saraswati Pujo: বাগদেবীর আরাধনায় বেনজির ছবি, সরস্বতী পুজোর সেকাল-একাল মেলাতে পারছেন না বিদ্বজনেরা
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours