কলকাতা: লিস্টে থাকলেও বুধবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি হল না। আগামী ২৯ জানুয়ারি আর জি কর মামলার আগামী শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। আগামী বুধবার দুপুর ২টোয় শুনানি হবে বলে জানাল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। গতকাল লিস্টে যদিও আর জি কর মামলার উল্লেখ ছিল। ৪২ নম্বরে ছিল মামলা। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের আগে পর্যন্ত ১ থেকে ৫ নম্বর মামলারই শুনানি হয়। মধ্যাহ্নভোজের পর ফের আদালত বসলে যাতে শুনানি হয়, আবেদন জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী করুণা নন্দী। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের পরও শুনানি হল না। (RG Kar Case)
এদিন মধ্যাহ্নভোজের পর আদালত বসলে প্রধান বিচারপতি জানান, মোট তিনটি আবেদন জমা পড়েছে আদালত। একটি আবেদন নির্যাতিতার মা-বাবা জমা করেছিলেন, তার পাশাপাশি আরও দু’টি আবেদন জমা পড়েছে। যেহেতু সেই আবেদনগুলি বাকিদের কাছে পৌঁছয়নি, তা আগে সকলের হাতে তুলে দেওয়া হোক। তার পর আগামী বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ শুনানি হবে। তবে নির্যাতিতার পরিবার ছাড়া বাকি দু’টি আবেদন কাদের, তা জানা যায়নি নির্দিষ্ট ভাবে। (Supreme Court)
এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর যখন শুনানি হয়, সেই সময় শীর্ষ আদালত ১৭ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়। পাশাপাশি, আদালত জানায়, নিম্ন আদালতে মামলার শুনানি ঠিক হচ্ছে না বলে মনে হলে, সেক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো যেতে পারে। এর পরই নির্যাতিতার মা-বাবা আবেদন জমা করেন। সেই আবহেই সোমবার শিয়ালদা আদালত সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনায়। তার পর আজ শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে গেল আগামী বুধবার।
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে সোমবারই আমরণ কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে শিয়ালদা আদালত। সেই সাজা ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টে আজ আর জি কর মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার কথা ছিল আজ। নিহত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, সঞ্জয় রায় একা নন, অপরাধে জড়িত আরও কয়েকজন। CBI তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা।
যদিও এর আগে, সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, CBI সঠিক তদন্তই করছে। নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যদিও CBI যোগাযোগ রাখছে না, ফোন ধরে না বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার মা-বাবা। এমনকি তাঁরা CBI তদন্ত চাননি, আদালতের তত্ত্বাবধানে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চেয়েছিলেন বলে জানান। আগামী বুধবার শুনানি হলে আদালত কী বলে, তা-ই দেখার। এদিনও ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে শুনানির জন্য অপেক্ষা করছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা।
আরও দেখুন