জহরের ইস্তফা ঘোষণার পরই প্রশ্ন সুকান্তর, ‘মুখ্যমন্ত্রী কবে দেবেন ?..’

Estimated read time 1 min read
0 0
Listen to this article
Read Time:4 Minute, 16 Second


কলকাতা: ফের আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ তৃণমূলের অন্দরমহলে। এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন জহর সরকার। সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশের পাশাপাশি, রাজনীতিও ছাড়তে চান এই অবসরপ্রাপ্ত আমলা। জহর সরকারে ইস্তফা ঘোষণার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা চেয়ে সরব সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্ত বলেন, ‘আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সাংসদ পদ ও তৃণমূল ছেড়েছেন জহর সরকার। এটা স্পষ্ট ইঙ্গিত যে যাঁরা বাংলার ভাল চায় তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব সমর্থন করছে না। বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উপর বিশ্বাস হারিয়েছেন।এই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।এই কুশাসনের জেরে বাংলার মা-মাটি-মানুষ অসহায়। মানুষ জানতে চাইছে, মুখ্যমন্ত্রী কবে ইস্তফা দেবেন?’, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।  

চিঠিতে মূলত দুটি বিষয় উল্লেখ করেছেন জহর সরকার। এক, আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জন-জাগরণ, যা রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের দরবারে। এই গণ-আন্দোলন তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তৃণমূল নেত্রীকে লেখা চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের কারণ দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দেওয়া।কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ ও অনাস্থা আমি আগে দেখিনি। আর জি কর-কাণ্ডে আপনার সক্রিয় হস্তক্ষেপ আশা করেছিলাম। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, খুবই সামান্য, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্তবিক্ষোভে রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিতে লিখেছেন জহর সরকার। 

আরও পড়ুন, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের..

রাজ্যসভার সাংসদ, বিজেপি নেতা  শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যদি সত্য়িই উনি পদত্য়াগ করে থাকেন, তাহলে আমার মনে হয়, এবার দলের মধ্য়ে থেকেই বার্তা আসছে, যে, এই সরকারটার আর প্রয়োজন নেই। এই সরকার জনবিরোধী সরকার। এই সরকার গণতান্ত্রিক ব্য়বস্থার পরিপন্থী সরকার।’ প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘তাঁর বিবেকের জাগরণ হয়েছে। বিবেকের দংশন হচ্ছে। কিন্তু জহর সরকারের মতো লোকদের এই সরকার সম্পর্কে অনেক আগেই জানা ছিল। এমন নয় যে, জহর সরকার পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার সম্পর্কে কিছু জানত না। আজকে অনেক ধর্মের বাণী শোনাচ্ছে, বিবেকের বাণী শোনাচ্ছে। ভাল লাগছে তবুও। প্রশংসা করেছি আমি।’

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 

 

 

আরও দেখুন



Source link

About Post Author

JagoronBarta

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *