# Tags
#Blog

চার সপ্তাহের মধ্যে সপ্তম স্টেটাস রিপোর্ট দিতে নির্দেশ CBI-কে, আজকের মতো আর জি কর শুনানি শেষ

চার সপ্তাহের মধ্যে সপ্তম স্টেটাস রিপোর্ট দিতে নির্দেশ CBI-কে, আজকের মতো আর জি কর শুনানি শেষ
Listen to this article


কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি শেষ হল আজকের মতো। আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. CBI-কে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। আগামী চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে সপ্তম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে। আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। অর্থাৎ তিনি আর এই মামলার শুনানি করবেন না। পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে শুনানি হবে।  (RG Kar Case Hearing)

আদালতে আজ রাজ্যের তরফে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিবল। তিনি দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্য়বস্থা করার আর্জি জানান। আদালতে এদিন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর চিকিৎসকদের আইনজীবী তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৯০ দিন ধরে তদন্ত চলছে, কিন্তু কিছু হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর পাল্টা প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে নিম্ন আদালতের। যদি তথ্যপ্রমাণ দেখে তাঁদের মনে হয়, তেমন নির্দেশ দিতে পারেন তাঁরা।” (Supreme Court)

শুধু তাই নয়, রাজ্যের বাইরে আর জি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে আবেদন জমা পড়ে আদালতে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, রাজ্যের বাইরে বিচারপ্রক্রিয়া সরিয়ে নিয়ে গেলে, নিম্ন আদালতের কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হবে। CBI-এর চার্জশিটে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়ের নাম থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। ষষ্ঠ রিপোর্টে CBI তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কী জানিয়েছে, তা যদিও খোলসা করেনি আদালত। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে ইন্দিরা জয়সিংহও সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু শুনানি চলাকালীন, CBI রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি সন্তুষ্ট মনে হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীদের। ধর্ষণ ও খুন এবং আর্থিক তছরুপের বিষয়টিও CBI খতিয়ে দেখছে, CBI সব দেখছে, এখন কিছু খোলসা করতে চাইছে না বলে জানান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

বৃহস্পতিবার আদালতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকারও। দু’টি ক্যাটেগরিতে টাস্ক ফোর্সের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করা হয়। যৌন হিংসা ও শারীরিক হিংসা বন্ধের প্রস্তাব পেশ রিপোর্টে। সমস্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যাতে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে, তা বলা হয়।  সমস্ত কৌঁসুলি, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের কাছে রিপোর্টের কপি পাঠাতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি জানান, রাজ্যের সচিবরা রিপোর্ট নিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। কী ভাবে একটি স্বাধীন নজরদারি ব্যবস্থা ভারত জুড়ে প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে মতামতও চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

আদালতে আজ রাজ্যের তরফে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিবল। তিনি দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্য়বস্থা করার আর্জি জানান। আদালতে এদিন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর চিকিৎসকদের আইনজীবী তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৯০ দিন ধরে তদন্ত চলছে, কিন্তু কিছু হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর পাল্টা প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে নিম্ন আদালতের। যদি তথ্যপ্রমাণ দেখে তাঁদের মনে হয়, তেমন নির্দেশ দিতে পারেন তাঁরা।”

আগের শুনানিতে রাজ্যকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে রাজ্যের হলফনামা চাওয়া হয়। কিন্তু সেই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি আজ। শীর্ষ আদালতের নয়া বেঞ্চ এ নিয়ে শুনানি করবে। শুধুমাত্র সঞ্জয়কে কেন অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই প্রশ্নও ওঠে আদালতে। সেই নিয়ে আজ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, এভাবে নিম্ন আদালতকে সন্দেহ করা উচিত নয়। জেলা আদালতে শুনানি শুরু হতে চলেছে। বাকিদের ভূমিকা বিয়ে তদন্তের প্রয়োজন মনে করলে, নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। ১১ নভেম্বর থেকে নিম্ন আদালতে চার্জগঠন এবং শুনানি হতে চলেছে আর জি কর কাণ্ডে। তাই নিম্ন আদালত চাইলে তেমন নির্দেশ দিতে পারে বলে জানায় আদালত।

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal