এক মাস পর সপ্রিম কোর্টে হল আর জি কর মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানির দিন পড়ল তিন মাস পর। সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে ৩ মাস পরে ফের শুনানি। এদিন নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে পেশ করল সিবিআই। তাদের তরফে সলিসিটর তুষার মেহতা, মূলত তিনটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা, দ্বিতীয়ত তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, এবং আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতি। তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণ ঘটনায় চার্জশিট তৈরি হয়েছে, শিয়ালদা কোর্টে এই মামলার ট্রায়াল চলছে। সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বও শুরু হয়েছে। সিবিআই আজ সুপ্রিম কোর্টে সেই বিষয়টিও জানিয়েছে। দ্বিতীয় মামলা হল তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মামলা। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিবিআই দুজনকে গ্রেফতার করেছে। একজন আর জি কর মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এখনও তদন্ত চলছে, চার্জশিট জমা দেয়নি সিবিআই। এ বিষয়ে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর রয়েছে আর্থিক দুর্নীতি মামলা। এটির বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি এখনও।
তবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এদিন আরেকটি অভিযোগও করেছেন CBI-এর আইনজীবী। বলা হয়, ‘আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সরকারি পদে থাকা ২জনের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুতে রাজ্যের অনুমোদন চেয়েও মেলেনি। ২৭ নভেম্বর আবেদন করা হয়েছে, এখনও অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার।’ এরপরই দেশের প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে নির্দেশ দেন, অনুমোদনের বিষয়টি দেখুন। যদিও পাল্টা জবাব দিয়ে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, কোনও আবেদনই করেনি সিবিআই।
এদিন শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ‘ভয়াবহ ধর্ষণ-খুন, প্রমাণ লোপাট ও হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। ৫১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আর জি কর মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করব’।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে ‘তারিখ পে তারিখ’ নিয়ে হতাশ নিহত চিকিৎসকের পরিবার। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, অপরাধে যদি আর কারও ভূমিকা থাকে, তাকেও খুঁজে বের করুক সিবিআই। সিবিআই এর আইনজীবী জানিয়েছে, সিবিআই যথাযথ তদন্ত করছে, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগে আছে।
আর কর কাণ্ডের মামলায় এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে, বারবার হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয় উঠে এসেছে। সেই প্রসঙ্গে এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ইন্দিরা জয়সিংহ আর্জি জানান, পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নের উপর নজরদারি করার জন্য নিরপেক্ষ ব্যবস্থা থাকা উচিত। সেটা নিয়েও কেন্দ্রের কাছে মতামত চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও দেখুন