প্রায় ৭ ঘণ্টা CBI জিজ্ঞাসাবাদ, CGO থেকে বেরিয়ে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে যা বললেন TMC বিধায়ক…

Estimated read time 1 min read
0 0
Listen to this article
Read Time:4 Minute, 24 Second


কলকাতা : আরজি করের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় এবার সিবিআই নজরে তৃণমূল বিধায়ক । প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের সৎকারে কী ভূমিকা ছিল নির্মলের ? উত্তরের খোঁজে সিবিআই। আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই স্ক্যানারে পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

৭ ঘণ্টা পর সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে নির্মল ঘোষ বলেন, “৯ তারিখ সন্ধেয় আমি স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে… আমাদের অভয়ার বাড়ি আমার বিধানসভা এলাকায়…আমি নিজে একটা মিট দ্য প্রেস করেছিলাম। ৫০-এর বেশি প্রেস ছিল। সেদিনের কথা যদি খেয়াল করেন, এত বড় নৃশংস অপরাধ আমার জীবনে আমি কম দেখেছি। সেদিন আমি বলেছিলাম, ফাঁসির থেকেও বড় শাস্তি দিতে হবে। সেই দাবি আমি এবং আমার সরকার…এই দাবিতেই আমরা অটল আছি। অনেক প্রেস হয়ত ভুল করতে পারে, কিন্তু রাজ্যের এখন বিচার ব্যবস্থাটা সিবিআইয়ের হাতে। সেই সিবিআইতে আমি আজ এসেছিলাম ওদের সঙ্গে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট করে। ওরাও আমায় আসার জন্য আপোয়েনমেন্ট করেছে। ওদের অনেক কথা ছিল। যেটা আমি এখানে বলতে পারি না। আমারও অনেক কথা ছিল, যেটা আমি এখানে বলতে চাই না। আমার এলাকার মেয়ে, আমার এলাকার ডাক্তার, আমার এলাকার সব….আমি নিজে নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। আমার সঙ্গে সেদিন দেখা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ আলোচনার মধ্যে আসে না।”

প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে দ্রুত ময়নাতদন্ত করতে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে। বিস্ফোরক এই অভিযোগ জানিয়েছেন নিহত নির্যাতিতার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। আরজি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসের দাবি, ‘তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। নিহতের কাকা পরিচয় দিয়ে একজন বলেছিলেন, ওই দিন ময়নাতদন্ত না হলে রক্তগঙ্গা বইবে। এক প্রাক্তন কাউন্সিলর বলেছিলেন, রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবেন।’ সেই দাবি প্রসঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন শুভেন্দু।

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছেন। দাবি করেছেন, চিকিৎসকের কাকা পরিচয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।’ সিবিআই দফতরে নির্মল ঘোষের হাজিরার পরেই এক্স হ্যান্ডলে এই পোস্ট করেন শুভেন্দু।

আরও দেখুন



Source link

About Post Author

JagoronBarta

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *