ব্রিসবেন: ‘আমি দেখাতে চাই না, তবে সত্যিই ভীষণ আবেগপ্রবণ মুহূর্ত,’ ব্রিসবেনে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (R Ashwin) যখন কথাগুলো বলছিলেন, সতীর্থদের চোখমুখও যেন শুকনো। নায়কের বিদায়ে বিষণ্ণ।
বর্ডার গাওস্কর সিরিজ চলাকালীন, গাব্বায় তৃতীয় টেস্ট ড্র হতেই আচমকা অবসর ঘোষণা করলেন কিংবদন্তি অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ব্রিসবেনে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) তৃতীয় টেস্ট ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে অধিনায়ক রোহিত শর্মার পাশে বসে অবসর ঘোষণা করেন তামিলনাড়ুর অফস্পিনার। তার মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ভেতরের ছবিটা। যেখানে অশ্বিনকে দেখা গিয়েছে সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদের উদ্দেশে বিদায়ী বার্তা দিতে।
কী বলেছেন অশ্বিন?
গাব্বায় ভারতীয় ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে তারকা অফস্পিনার বলেন, ‘আমি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। ধন্যবাদ রোহিত, ধন্যবাদ বিরাট, ধন্যবাদ গৌতি ভাই (কোচ গৌতম গম্ভীর)। আমি আজ খুব খুশি। আমার মনে হচ্ছে এই প্রথম যেন অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছি। আমি সকলের সন্ধিক্ষণ দেখলাম। রাহুল পাজির (রাহুল দ্রাবিড়) অবসর দেখলাম, সচিন পাজির (সচিন তেন্ডুলকর) অবসর দেখলাম। তবে সতীর্থরা আমাকে বিশ্বাস করো, সকলেরই ছাড়ার সঠিক সময় আসে আর আমার সময়ও এসেছে। আমি পুরোপুরি উপভোগ করেছি, প্রত্যেকটা মুহূর্ত। দারুণ কিছু সম্পর্ক তৈরি করেছি। বিশেষ করে গত ৪-৫ বছরে। এমন কয়েকজন সতীর্থকে রেখে যাচ্ছি যারা দারুণ ভাল খেলছে।’
অশ্বিন আরও বলেছেন, ‘গত চার বছরে প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমি উপলব্ধি করেছি সেই সম্পর্কগুলোর মূল্য। খেলোয়াড় হিসাবেও তাদের গুরুত্ব বুঝেছি। দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
অফস্পিনারকে একটি বিশেষ উপহারও দেয় অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটারেরাও। সকলের স্বাক্ষর করা একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয়েছে অশ্বিনকে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও স্পিনার নাথান লায়ন তাঁর হাতে সেই উপহার তুলে দেন।
বৃহস্পতিবাই যে তিনি দেশে ফেরার বিমান ধরবেন, জানিয়েছেন অশ্বিন। বলেছেন, ‘আমি বাড়ি ফেরার বিমান ধরব। তবে মেলবোর্নে তোমরা কেমন খেলছো, সেটা দেখব। তোমাদের প্রত্যেকের পারফরম্যান্স দেখব। আমার মধ্যে থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হয়তো শেষ হল, তবে আমার মধ্যে থাকা ক্রিকেট কোনওদিন শেষ হবে না। সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। যখনই তোমাদের কিছু দরকার হবে, মাথায় রাখবে একটা ফোন কল দূরত্বে রয়েছি আমি।’
আরও পড়ুন: একা সৌরাশিস নয়, এক বল নাকানিচোবানি খাইয়েছিল কার্তিক, বালাজিকেও! অশ্বিনের কেরামতির গল্প
আরও দেখুন