কলকাতা: রামনবমীর আগে ফের গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে গেল শহর। পতাকায় শ্রীরামচন্দ্রের ছবি, সঙ্গে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। রেড রোড, বিধানসভার বাইরে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বাইরে লাগানো হল পতাকা। পতাকা লাগানো হয়েছে রাজভবন এবং আকাশবাণী ভবনের সামনেও। মেয়ো রোড, ব্রিগেড ময়দানের সামনের এলাকা, সর্বত্র লাগানো হয়েছে গেরুয়া পতাকা। ডোরিনা ক্রসিং, ফোর্ট উইলিয়ামের সঙ্গে, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ইডেনের সামনেও গেরুয়া পতাকা ও রামের পতাকা, ছবি চোখে পড়ছে। এমনকি কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরেও পতাকা ও ছবি চোখে পড়েছে। (Rama Navami)
কে বা কাদের তরফে লাইন দিয়ে এই পতাকা লাগানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। সব মিলিয়ে, রামনবমীর দুদিন আগে থাকতেই কলকাতার রাজপথ যেন রাম-ময় হয়ে উঠেছে। রামনবমীতে নিরাপত্তায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সেদিকে কড়া নজর কলকাতা পুলিশেরও। সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে রাজ্যের ১০ পুলিশ জেলা ও কমিশনারেটকে। সংবেদনশীল এলাকাগুলির দায়িত্ব সামলাবেন ২৯ জন IPS অফিসার। ৫ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ওই সব এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা। ২ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের সব কর্মী ও অফিসারের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। (Kolkata News)
এখনও পর্যন্ত যা খবর, রবিবার রামনবমীর দিন কলকাতায় ছোট বড় মিলিয়ে ৫৯টি রামনবমীর মিছিল বের হওয়ার কথা। পাঁচটি বড় শোভাযাত্রায় বিশেষ নজরদারি চালাবে পুলিশ। এন্টালি, পিকনিক গার্ডেন, কাশীপুর, হেস্টিংস ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে মিছিল হবে। বহুতল থেকে মিছিলের উপর চলবে নজরদারি। নজরদারি চালানো হবে ড্রোন উড়িয়ে। জায়গায় জায়গায় পুলিশ পিকেটিংও থাকবে। নির্ধারিত রুট এবং অনুমতি ছাড়া মিছিল করলে আইনি পদক্ষেপ করবে পুলিশ। (Rama Navami Procession)
কোনও রকম সংঘর্ষ এড়াতে ইন্টালিজেন্স ইনপুটের দিকেও সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে প্রচুর কলকাতা পুলিশও মোতায়েন করছে লালবাজার। মিছিলের আগে ও পরে থাকবে পুলিশ বাহিনী। ছোট ছোট গলিতে বাইকে নজরদারি চালাবে পুলিশ। অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। নির্ধারিত রুট ও অনুমতি ছাড়া কেউ মিছিল করলে আইনি পদক্ষেপ করবে লালবাজার। CCTV-র নজরদারি ছাড়াও বড় মিছিলে লাইভ স্ক্রিনিং নজরদারি চালাতে লাইভইউ ব্যবহার করা হবে।
মেয়ো রোড, ব্রিগেড ময়দানের সামনের এলাকা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনের রাস্তা, সর্বত্র লাগানো হয়েছে এরকম গেরুয়া পতাকা। রাজভবন ও আকাশবাণী ভবনের সামনেও লাগানো হয়েছে গেরুয়া পতাকা। কে বা কাদের তরফে লাইন দিয়ে এই পতাকা লাগানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। সব মিলিয়ে, রামনবমীর দুদিন আগে থাকতেই কলকাতার রাজপথ যেন রাম-ময়!
কিছু লোক বলছে রাস্তায় নামবে। যদি রাস্তায় নেমে কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, লক্ষ লক্ষ লোক কিন্তু মাড়িয়ে চলে যাবে। তখন দোষ দিও না। রাজ্যে আদালতের সরকার চালানোর দরকার আছে, রামনবমীর আগে হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের। পুলিশ আছে বলেই দিলীপ ঘোষ বেরোতে পারছেন, দিলীপ ঘোষকে পাল্টা হুঙ্কার সওকত মোল্লার।
দুর্গাপুজোয় কোথাও গন্ডগোল হলে কি দুর্গাপুজো কি বন্ধ করে দেব? বন্ধ করতে হলে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সব কর্মসূচিই বন্ধ করে দেব। হাওড়ায় রামনবমীর মিছিল নিয়ে মামলায় কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। শর্তসাপেক্ষে অঞ্জনি পুত্র সেনা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে রামনবমীর মিছিলে অনুমতি দিল কলকাতা
হাইকোর্ট। ‘
কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের সর্বত্র কামনবমী ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। জানা গিয়েছে, ৩ হাজার শোভাযাত্রা এবং ১ লক্ষ পুজোর আয়োজন হয়েছে সর্বত্র। তবে শুধুমাত্র বিজেপি বা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি নয়, রামনবমী উদযাপনে এবার সক্রিয় তৃণমূলও। বিভিন্ন জায়গায় তারাও রামনবমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া বলেন, “আমি দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে উদযাপন ৬ এপ্রিল ভগবান রামচন্দ্রের জন্মদিনে উদযাপন করব আমরা।” সকলকে সেখানে স্বাগতও জানিয়েছেন তিনি।
আরও দেখুন