NOW READING:
‘ইদে সবাই অংশ নিলে, রামনবমীতেও সবার অংশগ্রহণ করা উচিত..’, বলছেন দিলীপ ঘোষ
April 1, 2025

‘ইদে সবাই অংশ নিলে, রামনবমীতেও সবার অংশগ্রহণ করা উচিত..’, বলছেন দিলীপ ঘোষ

‘ইদে সবাই অংশ নিলে, রামনবমীতেও সবার অংশগ্রহণ করা উচিত..’, বলছেন দিলীপ ঘোষ
Listen to this article


রঞ্জিত সাউ, কলকাতা:  রবিবার রামনবমী। যা নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণ চলছে। ইতিমধ্যেই রামনবমী পালন নিয়ে হুঁশিয়ারির সুরে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার রামনবমীর ইস্যুতে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশাপাশি মুসলিম ভোট নিয়েও বললেন কথা। 

সাংবাদিক: কলকাতা জুড়ে রামনবমী পোস্টার

দিলীপ ঘোষ: এই ধরণের আয়োজন বাড়ছে। হিন্দু সমাজ ,মোঘল, পাঠান , ব্রিটিশ দাসত্বে ছিল। হীনমন্যতায় ভুগছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছিল। রামনবমীর আগেই দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে। ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এবারের কুম্ভ দেখুন। লক্ষ লক্ষ মানুষ গেছে। মুসলিম সমাজ যদি ইদ -মহরম পালন করতে পারে, তাতে সবাই অংশ নিতে পারে, তাহলে হিন্দুদের সবথেকে বড় উৎসব রামনবমীতে সবার অংশগ্রহণ করা উচিত। যারা ভয় দেখাচ্ছেন, তাঁদের থেকে সবার আলাদা থাকা দরকার।

সাংবাদিক: অনুমতি আছে পুলিশের?

দিলীপ ঘোষ: সবকিছুর পারমিশন লাগে নাকি? কার বাড়িতে কালীপুজো হবে। পারমিশন লাগবে? কার বাড়িতে বিয়ে হবে। পারমিশন লাগবে? এটা কি মোঘল সাম্রাজ্য চলছে? পুলিশকে ইনফর্ম করা হয়েছে। পুলিশের কাজ বিষয়টা যাতে নির্বিঘে হয় সেটা দেখা। পুজো হবে কিনা, শোভাযাত্রা হবে কিনা, সেটা যারা আসবেন তারা ঠিক করবেন। 

সাংবাদিক: উত্তরবঙ্গের ১০ বিধায়কের দিল্লিতে বৈঠক…

দিলীপ ঘোষ: খুব পুরনো ইস্যু। আমাদের পুরোনো লোকেরা কামতাপুরী এবং গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন। মূল কারণ অনুন্নয়ন। একসময় সিপিএম ঘাঁটি ছিল উত্তরবঙ্গ। এখন বিজেপির ঘাঁটি। মানুষের ধারণা বিজেপি তাঁদের জন্য কিছু করবে। তাই তাঁরা আমাদের ভোট দেয়। ওখানে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকার সাধ্যমতো করেছে। হাইওয়ে দিয়েছে। ট্রেন দিয়েছে। বন্দে ভারত দিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ দিয়েছে। এইমস দিয়েছে। হাইকোর্ট বেঞ্চ দিয়েছে। বাকি উন্নয়ন অর্থাৎ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, সেটা তো রাজ্যকে দিতে হবে। ওরা ঠিক করেছে দেবেই না। ওখানকার জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব এই সমস্যা দূর করা। টাকা Sanction , কিন্তু রাস্তা হয় না। এটা কতদিন চলতে পারে?

সাংবাদিক: রেড রোড থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা প্রসঙ্গে..

দিলীপ ঘোষ: কালকের ভাষণে সম্প্রীতি কোথায় ছিল আমি জানি না। দেখে নেব, করে নেব, আমি একাই একশো, এটা কোন ধরণের সম্প্রীতির বার্তা? সম্প্রীতি সেটাই যেখানে উনি বলতেন আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে থাকি। উনি উস্কাচ্ছেন। এটা সম্প্রীতি নয়। উনি জানেন সম্প্রীতি না ভাঙলে উনি ভোটে জিততে পারবেন না। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আসার পরেই বিজেপি বেড়েছে। উনি যাই বলুন। সিপিএমের অত্যাচারে তৃণমূল এসেছিল। তৃণমূলের অত্যাচারে লোকে বিজেপির দিকে আসছে। ভাষণ দিলে রাজনীতির মঞ্চে দিক। পবিত্র ইদের মঞ্চ অপবিত্র করে, কেন উনি রাজনীতির ভাষণ দিচ্ছেন? আমি মুসলিমদের বলব , যারা ওনার তাবেদারি করছে তাদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করুন। ইসলাম যদি শান্তির ধর্ম হয় তাহলে শান্তির কথা হোক। ইদকে অপবিত্র করার অধিকার কে দিয়েছে? 

আরও পড়ুন, জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ! ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড..

সাংবাদিক: কেন্দ্রের অনেক সুযোগ সুবিধা মুসলিমরা পেয়েছে..

দিলীপ ঘোষ: সাচার কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সবথেকে পিছিয়ে। মানসিক সামাজিক আর্থিক ভাবে পিছিয়ে আছে। এখানে যারা শাসন করেছে তারা বরাবরই মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি করেছে। উন্নয়ন করেনি। পাশেই একটা গ্রাম। ইদে লাইট লাগিয়েছে। নিচের রাস্তা ভাঙা। মুসলিম এলাকায় রাস্তা হয় না কেন? উন্নয়ন হয় না কেন? তৃণমূল জানে, আমি কাজ করি বা না করি মুসলমান আমাকে ভোট দেবে। এটা ব্লক ভোট। মুসলমানরা যদি বিজেপির ভয়ে তৃণমূলকে ভোট দেয় তাহলে এই হবে। বিজেপিকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বিজেপি তোমাদের ভোট চায় না। কিন্তু তোমাদের সমাজের কথা ভেবে শিক্ষিত মানুষ অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। একটা বড় জনসংখ্যা এই ভাবে পিছিয়ে থাকছে। সে আপনি মুখে যতই এগিয়ে বাংলা বলে চেঁচান। উত্তরপ্রদেশে দেখুন, যোগী বলেছেন দেশে মুসলমানদের জন্য সব থেকে নিরাপদ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। সেখানে তাঁরা দিব্যি আছে। উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে। এখানে ইদের সময় তাদের ভড়কাবেন তারা হিন্দু পাড়ায় গিয়ে অত্যাচার করবে!

আরও দেখুন



Source link