‘মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে ?’ বিচারকের প্রশ্নে কী বলল সঞ্জয় ?
![‘মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে ?’ বিচারকের প্রশ্নে কী বলল সঞ্জয় ? ‘মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে ?’ বিচারকের প্রশ্নে কী বলল সঞ্জয় ?](https://i0.wp.com/feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2025/01/20/e5cc62329094a2adda5c11b1a0d87e581737363318045170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&w=991&resize=991,564&ssl=1)
কলকাতা : কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজা ঘোষণা। গোটা দেশ তাকিয়ে শিয়ালদা কোর্টের ২১০ নম্বর ঘরের দিকে। কারণ, এখানেই কিছুক্ষণের মধ্যে আর জি কর মামলায় সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক অনির্বাণ দাস। মৃত্যুদণ্ড না যাবজ্জীবন? কী সাজা দেওয়া হবে নির্দেশনামা লিপিবদ্ধ করছেন তিনি। এদিকে এদিন গোড়াতেই দোষী সঞ্জয় রায়কে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, ‘কিছু বলার থাকলে বলুন।’ উত্তরে সঞ্জয় দাবি করে, সে নির্দোষ । জোর করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী তাকে জোর করে সই করানো হয়েছে, মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সঞ্জয়। বিচারক জানতে চান, ‘মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে ?’ উত্তরে সঞ্জয় বলে, ‘পুলিশ ব্যারাকে থাকতাম, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।’
বিচারক সঞ্জয়কে বলেন, ‘আপনাকে বলেছিলাম এই মামলায় ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৬৪ নম্বর ধারায় যাবজ্জীবন, ৬৬ নম্বর ধারায় মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন এবং ১০৩ (১) ধারাতেও মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন হতে পারে। এই বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য? ‘ সঞ্জয় ফের একই কথা বলে, ‘খুন ও ধর্ষণে জড়িত নই, ফাঁসানো হয়েছে’। টেনে আনে ফের রুদ্রাক্ষের মালার প্রসঙ্গ। দাবি করে, ‘ধর্ষণ-খুন করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আপনি সব দেখছেন। আমি যদি করতাম, রুদ্রাক্ষের মালা ছিল, সেটা কি নষ্ট হত না ? প্রথম দিন থেকে আমাকে কিছু বলতে দেয়নি, মারধর করে সই করিয়েছে। যা ইচ্ছে করেছে। CBI মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে গিয়ে বেহালা থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর রেলের হাসপাতাল, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে স্যর। ‘বিচারক এদিন সরাসরি সঞ্জয়কে বলেন, ‘যা হয়েছে আপনার থেকে ভালো আর কেউ জানে না। যা যা প্রমাণ এবং বক্তব্য সামনে এসেছে তার ভিত্তিতে এই বিচার করছি।’
এদিকে সঞ্জয় রায়ের কঠোরতম শাস্তি চেয়ে কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে বিচারব্যবস্থার প্রতি সমাজের আস্থা থাকে।’ অন্যদিকে, সঞ্জয় রায়ের পক্ষে আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প কিছু আছে কি না, তা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক হোক।’
প্রসঙ্গত, আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় আজ সাজা ঘোষণা ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে শিয়ালদা আদালত চত্বর। আদালতের সামনে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। গার্ডরেল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে আদালতে ঢোকার রাস্তা। নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ২ জন কলকাতা পুলিশের DC পদমর্যাদার অফিসার। এ ছাড়াও রয়েছেন AC পদমর্যাদার ৫ জন অফিসার, ১৪ জন ইনস্পেক্টর, ৩১ সাব ইনস্পেক্টর, ASI ৩৯ জন এবং ২৯৯ জন কনস্টেবল। ৮০ জন মহিলা পুলিশ কর্মীও থাকছেন।
আরও দেখুন