গোটা দেশ তাকিয়ে, ১৬২ দিন পর কাল আর জি করকাণ্ডে রায় ঘোষণা ; মিলবে সুবিচার ?

Estimated read time 1 min read
Listen to this article


ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায় ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে, তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের পাঁচ মাস ন’দিন পর, শনিবার রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদা কোর্ট। বিচারক অনির্বাণ দাস কী রায় দেন, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সুবিচারের অপেক্ষায় নিহত চিকিৎসকের মা-বাবাও। অন্য়দিকে, CBI তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে, রায়ের দিন প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এক ডক্টর কি মউত ! আর তা ঘিরে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ! ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। কে বা কারা ধর্ষণকারী-খুনি ? খুনে কারা সঙ্গ দিয়েছিল ? উদ্দেশ্য় কী ? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমে প্রথমে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ! তারপর তদন্ত যায় সিবিআই-এর হাতে। কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন অর্থাৎ ১৬২ দিন পর শনিবার মামলায় রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদা আদালতে। দুপুরে রায় ঘোষণা করবেন বিচারক অনির্বাণ দাস।

আর জি কর মেডিক্য়ালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্য়ু ঘিরে বেনজির নাগরিক আন্দোলনের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। রাত দখল থেকে শুরু করে শিরদাঁড়া হাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযান, ধর্ণা, অনশন…. ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডানে সমর্থকদের একযোগে আন্দোলন। এরই মধ্য়ে ১৪ অগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’-এর দিন ভাঙচুর চালানো হয় আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। তারপর থেকে নাগরিক সমাজের আন্দোলন আরও দ্রুত শহর থেকে গ্রাম, পাহাড় থেকে সমুদ্র, রাজপথ থেকে মফঃস্বল অবধি ছড়িয়ে পড়ে। অনশনে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কখনও মিটিং ভেস্তে যাওয়া, কখনও মিটিং হওয়া, শেষ অবধি আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে পুলিশ কমিশনার থেকে ডিসি, স্বাস্থ্য় অধিকর্তাদের সরানোরও সাক্ষী হয়েছে এই রাজ্য়। শেষ পর্যন্ত ২১ অক্টোবর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পরে অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু, তারপর আন্দোলনের ঝাঁঝ কমলেও পুঞ্জীভূত ক্ষোভ কমেনি !

এরইমধ্য়ে ধর্ষণ-খুন মামলায় একমাত্র সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দেয় CBI । সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার চার্জ গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর। তার দু’মাস পর রায় ঘোষণা ঘোষণা করবেন বিচারক বিচারক অনির্বাণ দাস।

এদিকে কলকাতা পুলিশের পথেই সিবিআই হাঁটছে, বিশেষ কাউকে আড়াল করা হচ্ছে, সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে এই কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়, এই অভিযোগে ফের রাস্তায় নেমেছে চিকিৎসক থেকে নাগরিক সমাজ। সূত্রের খবর, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৫১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে এই মামলার রায়দান।

আরও দেখুন



Source link

JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours