কলকাতা : শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে আগামী ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন আর জি করের নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। পতাকা, ব্যানার ছেড়ে সব স্তরেব মানুষের কাছে অভিযানে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু, আর জি করে ঘটনার পর প্রথম থেকে প্রতিবাদে সরব যেসব জুনিয়র ডাক্তার বা তাঁদের ফ্রন্ট জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট কী করবে ? এই আন্দোলনে কি তারা শামিল হবে ? এনিয়ে চর্চা চলছিলই। এই পরিস্থিতিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ওই অভিযানে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল ফ্রন্ট। তাদের তরফে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানিয়ে দেন, নবান্ন অভিযানে তাঁরা যোগ দিচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গে ফ্রন্টের তরফে দেবাশিস হালদারের বক্তব্য, এই জায়গাটা স্পষ্ট করে নেওয়া দরকার। যে জায়গা থেকে এই ডাকটা দেওয়া হয়েছে, যদিও কাকু-কাকিমার মুখ থেকে এই ডাকটা এসেছে, কিন্তু যে মঞ্চ থেকে এসেছে সেখানে বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতা এবং তাবড় নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ফলে এটা আমাদের কাছে অনেক বেশি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হিসাবে বেশি মনে হচ্ছে। এটা কোনও ধোঁয়াশার জায়গায় নেই। ফলে, আমরা সংগঠনগতভাবে যোগ দেব না। কিন্তু, তার মানে এটা নয় আমরা সাধারণ মানুষকে এটা নিয়ে কোনও বার্তা দিতে চাইছি। সাধারণ মানুষ যদি মনে করেন কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে তাঁরা যোগ দেবেন, দিতেই পারেন। সেটা আমাদের কোনও জায়গা নেই।
আমাদের প্রশ্নটা একটা জায়গায়, যে বিরোধী দলনেতা ওখানে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো বলছেন, এই যে আর জি করকাণ্ডে অভয়া বিচার পেল না, তার দায় একটা যেমন রাজ্য সরকারের, আর একটা তো সিবিআইয়ের। সিবিআই একটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সে এতদিন ধরে কী করল ? তারা কেন একটা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারছে না ? যদি এটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হয়, তার দায় কিন্তু আজ সেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে বিরোধী দলনেতারা এড়িয়ে যেতে পারেন না। ফলে, তাঁদের কাছেও আমাদের প্রশ্ন থাকবে, তাঁরা এই ব্যাপারটা কীভাবে দেখছেন। ফলে, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি নিচ্ছি সেটাই আমাদের কর্মসূচি। আমরা নবান্ন অভিযানে পার্টিসিপেট করছি না। সাধারণ মানুষ যদি এটাতে পার্টিসিপেট করতে চান, সেটাতে আমরা আটকানোর কেউ নয়। বাধা দেওয়ারও কেউ নই।