জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইউক্রেনের পেছনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। তাদের তাদেরই এবার টার্গেট করতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খুব স্পষ্ট করে রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, দরকার হলে পশ্চিম ইউরোপে হামলা চালাতেও তিনি পেছপা হবেন না। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া যে দূরপাল্লার আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা কোন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্যে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের পর ফের এক সংকটের সামনে পড়ে যেতে পারে ইউরোপ।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে বিপুল জয়ের পথে এনডিএ, মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে শিন্ডে নাকি ফড়নবীস বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির!
উল্লেখ্য, এসপ্তাহেই দূরপাল্লার হাইপারসনিক আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটিতে অবশ্য পরমাণু বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মূলত হুঁশিয়ারি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মস্কোর এই পদক্ষেপ।
গত ১৯ নভেম্বর রুশ হানার ১০০০তম দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির সেনা ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা চালিয়েছিল। তার পর থেকেই ধারাবাহিক প্রত্যাঘাত শুরু করেছে রুশ ফৌজ। রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালালে তার পরিণতি ভাল হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুতিন। সেটাই করছে রাশিয়া।
টানা ৩৩ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানার আগেই রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুতিন। গতকাল তিনি বলেন, শত্রুরা যা লক্ষ্য করেছিল, তা অর্জন করতে পারেনি। আর রাশিয়ার ওপর হামলা চালাতে যেসব দেশ তাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, ওই দেশগুলোর সামরিক স্থাপনায় হামলার বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে মস্কো।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)