ওড়িশা: রবিবার ২৯ জুন ভোরে পুরীতে পবিত্র রথযাত্রার সময় পদদলিত হয়ে তিনজন মারা যান এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। গুন্ডিচা মন্দিরের কাছে হাজার হাজার মানুষ তাদের আরাধ্য জগন্নাথদেবকে এক ঝলক দেখার জন্য সমবেত হয়েছিলেন। আর এই ঘটনা ঘটে জগন্নাথ মন্দির (Rath Yatra Festival) থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। এই জায়গা থেকেই জগন্নাথের (Puri Stampede) বার্ষিক যাত্রা শুরু হয়। আর এই জায়গাতেই যখন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ পৌঁছায় তখন প্রবল হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আর সেই ভিড়ের চাপে দুর্ভাগ্যবশত পদপিষ্ট হয়ে তিন ভক্তের মৃত্যু ঘটে।
ভোড় সাড়ে চারটের দিকে যখন রথগুলি গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছায় তখনই এই ঘটে এই অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। পবিত্র এই অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য ভক্তরা সেই এলাকায় ভিড় জমিয়েছিলেন। ক্রমবর্ধমান ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান, এর ফলেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতে আরও পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা চরম আকার নেয়।
খুরদা থেকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে পদপিষ্ট হয়ে
ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিন ভক্ত। এদের মধ্যে ছিলেন ৭০ বছর বয়সী প্রেমাকান্ত মোহান্তি, প্রভাতী দাস এবং বাসন্তী সাহু। নিহত তিনজনই খুরদা জেলার বাসিন্দা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পুরীতে জমায়েত হয়েছিলেন তারা। সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে যে এই বিশৃঙ্খলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
STORY | 3 killed, 50 injured in stampede near Shree Gundicha Temple in Odisha’s Puri
READ: https://t.co/DBbESsCYtQ
VIDEO | Visuals from Puri district hospital where injured are being admitted. pic.twitter.com/0b9TLnBZUB
— Press Trust of India (@PTI_News) June 29, 2025
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে পুলিশ এই ভিড় পরিচালনায় অক্ষম থেকেছে, এত বেশি মাত্রায় ভক্ত-অনুরাগীর উপস্থিতির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা আগে থেকে নেওয়া হয়নি। আর তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শঙ্কর স্বয়েন জানিয়েছেন যে এই তিন ব্যক্তির মৃত্যুর আসল কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ করে মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে।
ইতিমধ্যেই কথিত অব্যবস্থাপনার কারণে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেডি দলের প্রধান নবীন পট্টনায়েক এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যা করতে পারি তা হল একমাত্র প্রার্থনা। মহাপ্রভু জগন্নাথ যেন এই বছর এই ঐশ্বরিক উৎসবকে গ্রাস করা ভয়াবহ বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী সকলকে ক্ষমা করেন।’